ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস (ইসকন) নিষিদ্ধের দাবিতে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলমের নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ আরও তীব্র রূপ নিয়েছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে টাইগার পাস মোড়ে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের জানাজা শেষে শোক ও সম্প্রীতি সমাবেশ হয়। সমাবেশ শেষে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে শুরু হয় বিক্ষোভ। বিকেল ৩টার দিকে টাইগার পাস এলাকা বিক্ষোভকারীদের স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে। তারা পরে মিছিল নিয়ে বহদ্দারহাটের দিকে যান।
হাসনাত আবদুল্লাহ তার বক্তব্যে ইসকনকে উগ্রবাদী সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “আমরা দেশের মাটিতে কোনো উগ্রবাদী সংগঠনকে স্থান দেব না। ভারতীয় কোনো ষড়যন্ত্র এদেশে চলবে না।” সারজিস আলম বলেন, “ইসকনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ। স্বৈরাচার খুনি হাসিনাকে আমরা দেশছাড়া করেছি, ইসকন নিষিদ্ধ করাও আমাদের পক্ষে সম্ভব।”
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এর আগে ২৫ নভেম্বর শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে পুলিশের বিশেষ শাখা (ডিবি) চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন রাষ্ট্রদোহ মামলায় তাকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ইসকন অনুসারীরা চট্টগ্রামে বিক্ষোভ শুরু করে। তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় এবং এক পর্যায়ে আদালত এলাকার মসজিদ ও দোকানে হামলা চালায়। মোটরসাইকেল ভাঙচুরের পর আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
বিক্ষোভকারীরা প্রশাসনের কাছে ইসকন নিষিদ্ধের দাবি জানান। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।