ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ এবং জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেনজিভির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি বিবেচনা করছে যুক্তরাজ্য। গাজা ও পশ্চিম তীরের সাধারণ মানুষের বিষয়ে তাদের বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে এমন সিদ্ধান্তের কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার।
স্টারমার সংসদে জানিয়েছেন, গাজায় বেসামরিকদের খাদ্য সংকটকে ন্যায্য মনে করা এবং পশ্চিম তীরে সহিংসতায় যুক্ত বসতি স্থাপনকারীদের প্রশংসা করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। তিনি বলেন, “আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি, কারণ এগুলো স্পষ্টতই ঘৃণামূলক মন্তব্য।” স্মোট্রিচ ও বেনজিভির অবশ্য জানিয়েছেন যে, নিষেধাজ্ঞার হুমকি তাদের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আনবে না।
স্মোট্রিচ তার বিবৃতিতে বলেন, “কোনো হুমকিই আমাকে ইসরায়েলের নাগরিকদের জন্য সঠিক ও নৈতিক কাজ করা থেকে বিরত রাখতে পারবে না।” বেনজিভির বলেন, “এসব আমাকে ভীত করে না। আমি ইসরায়েলের জাতীয় স্বার্থের প্রতিই দায়বদ্ধ।”
স্টারমারের সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর ইসরায়েলের বিষয়ে কিছুটা কঠোর অবস্থান নিয়েছে। যুক্তরাজ্য ইতোমধ্যে ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানির কিছু লাইসেন্স সীমিত করেছে, কারণ কিছু সরঞ্জাম আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘনের ঝুঁকিতে রয়েছে। সম্প্রতি, পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সহিংসতায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ইসরায়েলি বসতিস্থাপনকারী সংগঠনের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্য।
এদিকে, গাজার মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এক জরুরি আলোচনার আগে স্টারমার বলেন, “ইসরায়েলের উচিত বেসামরিক প্রাণহানি কমাতে পদক্ষেপ নেওয়া, যাতে আরও ত্রাণ পাঠানো যায় এবং জাতিসংঘের সহযোগিতায় কার্যকরভাবে সাহায্য পৌঁছানো সম্ভব হয়।”
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও গাজার মানবিক পরিস্থিতির উন্নতির ওপর জোর দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, এ বিষয়ে কোনো উন্নতি না হলে ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা পেতে সমস্যায় পড়তে হতে পারে। অন্যদিকে, জাতিসংঘে ইসরায়েলের প্রতিনিধি জানিয়েছেন, তারা প্রয়োজনমতো ত্রাণ পৌঁছানোর প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।