BMBF News

দুমকিতে প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি পরীক্ষা নিচ্ছেন প্রধান শিক্ষক

মেহেদী হাসান শান্ত, দুমকি প্রতিনিধিঃ

 

 

দুমকিতে তিন দফা দাবি আদায়ের দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি অব্যাহত রয়েছে। সোমবার (১ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হলেও সহকারী শিক্ষকরা কর্মবিরতিতে থাকায় প্রধান শিক্ষকরা পরীক্ষা পরিচালনা করছেন।
গত ২৭ নভেম্বর থেকে সহকারী শিক্ষকরা কর্মবিরতি শুরু করেন। তারা জানান, দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় আন্দোলন চালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অসুবিধা হচ্ছে জানলেও নিজেদের ‘নিরুপায়’ বলেই দাবি তাদের।
সরেজমিনে দুমকির দেবীরচর মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় গিয়ে দেখা যায়, ১২ জন সহকারী শিক্ষক লাইব্রেরীতে বসে কর্মরীতি পালন করছে। অন্যদিকে প্রধান শিক্ষক মোঃ নুরুল ইসলাম পরীক্ষা নিচ্ছেন। উপজেলার দেবীরচর, উত্তর শ্রীরামপুর, জামলা গাবতলী, রাজাখালী সহ বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে এক‌ই চিত্র পাওয়া গেছে।
দুমকির আপতুন্নেছা খাতুন (এ.কে)সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীরা জানান গতকাল সোমবারের তাদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। আজ মঙ্গলবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আসলে প্রধান শিক্ষক অভিভাবকদের সহায়তা নিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

দেবীরচর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাদিয়া আফরিন বলেন, ‘সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ, ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে টাইম স্কেল প্রদান এবং সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি—এই তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’

পরীক্ষার মধ্য কর্মবিরতি চললে কোমলমতি বাচ্চাদের উপরে কেমন প্রভাব পড়বে সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে দেবীরচর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কামাল হোসেন বলেন- ‘কোমলমতি বাচ্চাদের পরীক্ষার ঘাটতি আমরা পূরন করে নেবো বিভিন্ন ছুটির সময়ে ক্লাসের কার্যক্রম পরিচালনা করবো’।

দুমকি এ.কে. সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নেছার উদ্দিন বলেন- ‘কোমলমতি বাচ্চাদের পড়াশোনায় ক্ষতি হোক এটা আমাদের উদ্দেশ্য না, সরকার আমাদের ৩ দফা দাবি মেনে নিলে আমরা আবার কোমলমতি শিশুদের কাছে ফিরে যাবো।’

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুনীল চন্দ্র দেবনাথ বলেন- ‘অভিভাবক, নাইট গার্ড, দপ্তরি ও অবসর প্রাপ্ত শিক্ষকদের সহায়তায় প্রধান শিক্ষকগন পরীক্ষা নিচ্ছেন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার উম্মে সালমা লাইজু মহোদয় দুমকির বিভিন্ন স্কল পরিদর্শন শেষে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। দুমকি উপজেলার ৬২ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের সহায়তায় বার্ষিক পরীক্ষা চলছে।’