নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুসহ সারা দেশে চলা অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা বন্ধে দেশটির সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করেছে।
গত রাতে দেশটির রাষ্ট্রপতি রাম চন্দ্র পৌডেল এবং নেপালি সেনাবাহিনী পৃথকভাবে আলোচনার আহ্বান জানানোর পর জেন-জি প্রতিনিধিরা সেনাপ্রধান অশোকরাজ সিগদেলের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন।
আলোচনায় শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা, অস্থায়ী সরকার গঠন ও আন্দোলনের দাবিগুলো নিয়ে আলোচনা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার নেপালে জেন জিদের বিক্ষোভে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের অভিযোগে পদত্যাগ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি।
এর আগে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং পাশাপাশি দুর্নীতি মোকাবিলার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করছিলেন হাজার হাজার তরুণ-তরুণী।
সোমবার গভীর রাতে ফেসবুক ও ইউটিউবসহ ২৬টি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের ওপর দেয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয় সরকার।
তবে, দেশটির প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করার পরও কাঠমান্ডু ও বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, সংসদ ভবন, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়সহ বহু স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর হয়েছে।
এর আগে শত শত বিক্ষোভকারী দেশটির সংসদ ভবনে ঢুকে আগুন ধরিয়ে দেয়, জানালা ভেঙে দেয়।
তারা দেয়ালে গ্রাফিতি এবং দুর্নীতিবিরোধী বার্তা স্প্রে-পেইন্ট করে। বিক্ষোভকারীরা নেপালের সরকারি অফিসগুলোর প্রধান প্রশাসনিক কমপ্লেক্স সিংহ দরবারে ও শীর্ষ নেতাদের ব্যক্তিগত বাসভবনে হামলা চালায়।
বুধবার সুপ্রিম কোর্ট ঘোষণা করে যে গুরুতর ক্ষতির কারণে বিচারাধীন মামলার সমস্ত শুনানি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
যদিও আন্দোলনকারীরা দাবি করছে ভাঙচুর ও সহিংসতায় তাদের প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততা নেই এবং শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই দাবি আদায় করতে চায়।