জাহিদুল ইসলাম জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী:
বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ৭৭ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাই-চ্যান্সেলর প্রফেসর ডক্টর স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত।
পায়রা নিউজকে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,
আজ ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার শুভ জন্মদিন। বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা স্বাধীনতার মহান ঘোষক বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পারিবারিক ও রাজনৈতিক কর্মজীবনের মধ্যে গড়ে ওঠা সংগ্রামী চেতনার সুমহান নেতৃত্বের এক উজ্জ্বল প্রদীপ শেখ হাসিনা।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে একদল বিপথগামী সেনা সদস্যদের হাতে নির্মমভাবে শহীদ হন। তখন শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন সহ দেশের বাহিরে অবস্থান করায় প্রাণে বেঁচে যান। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। ঠিক সেই সময় দেশরত্ন শেখ হাসিনা দেশে ফিরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। যোগ্য নেতৃত্ব দানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ কে সুসংগঠিত করেন এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় আওয়ামী লীগকে নিয়োজিত করেন।
আত্মত্যাগ ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনাকে এগিয়ে যেতে হচ্ছে। ব্যক্তি হিসেবে তিনি অত্যন্ত স্বচ্ছ, মানবিক, সৎ ও দৃঢ়চেতা এবং সাহসী। মৃত্যঝুঁকি মাথায় নিয়ে পিতার মতো বাংলাদেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য শেখ হাসিনা দক্ষ, নিষ্ঠা , সততা ও সাহসের সাথে কাজ করে চলেছেন। তারই বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, ভূমিহীনদের মধ্যে ভূমি, গৃহহীনদের মাঝে গৃহ নির্মাণ, বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি, বিদ্যুৎ, রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্ট ,ফ্লাইওভার ,টানেল ,এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ সহ দেশে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছেন। যার ফলে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্ব আজ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। বিশ্বের নারী নেতৃত্বে শীর্ষে থাকা নেতাদের মাঝে তিনি অন্যতম একজন। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের জন্য তিনি “গ্লোবাল উইমেন্স লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড “,”ভ্যাকসিন হিরো”, সহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সম্মাননায় ভূষিত হন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ নিম্ন আয়ের দেশ হতে উন্ননশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে।
২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শেখ হাসিনার বিজ্ঞ ও সাহসী সিদ্ধান্তে প্রত্যেককে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করে যেতে হবে তবেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন “সোনার বাংলাদেশ” প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।
পরিশেষে, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার দেশরত্ন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৭ তম জন্মদিনে জানাই শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন।