যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জানিয়েছেন, সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)-এর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এটি মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে এইচটিএসের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের প্রথম আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি। তবে যুক্তরাষ্ট্র এখনও এইচটিএসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত রেখেছে।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) জর্ডানে অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক বৈঠকের পর ব্লিঙ্কেন এই তথ্য জানান। বৈঠকে বিভিন্ন আরব দেশ, তুরস্ক এবং ইউরোপীয় প্রতিনিধিরা সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করেন। তারা সিরিয়ায় শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় একমত হয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকারের জন্য আহ্বান জানান, যা সংখ্যালঘুদের অধিকার নিশ্চিত করবে এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল হবে না।
বৈঠকে অংশ নেওয়া তুরস্ক, ইরাক এবং অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিরা সিরিয়ার স্থিতিশীলতা ও সংহতি বজায় রাখার ওপর জোর দেন। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেন, বিদ্যমান সিরীয় প্রতিষ্ঠানগুলো সংরক্ষণ ও সংস্কার করতে হবে।
ব্লিঙ্কেন আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার নিখোঁজ সাংবাদিক অস্টিন টিসের বিষয়ে এইচটিএসের সঙ্গে আলোচনা করেছে।
তবে বৈঠকে সিরিয়ার আসাদ সরকার বা তাদের প্রধান সহযোগী রাশিয়া ও ইরানের কোনো প্রতিনিধি ছিলেন না। এই পরিস্থিতিতে সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন জর্ডানে উপস্থিত ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুয়াদ হুসেইন। তিনি সতর্ক করেন যে, সিরিয়ায় একটি নতুন লিবিয়া পরিস্থিতি যেন সৃষ্টি না হয়।
এইচটিএস, সিরিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী বিদ্রোহী গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত, জানিয়েছে যে তারা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনে আগ্রহী। অন্যদিকে, সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে জটিলতা এবং উদ্বেগ এখনও অব্যাহত।