নিজস্ব প্রতিবেদক :
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে শিক্ষার্থীদের সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে৷ শিক্ষার্থীরা যেন সেই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারে সেই জন্য মেন্টরিং করতে হবে৷ মেন্টরিং এর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনের স্বীকৃতি দিতে হবে৷ শিক্ষার্থীরা শুধু পড়াশোনা করলেই হবে না, পড়াশোনার পাশাপাশি দেশের প্রয়োজনে উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল কাজে এগিয়ে আসতে হবে, তবেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে৷
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আইইইই বাংলাদেশের সেকশনের উদ্যোগে আইইইই পুরস্কার প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা অনুষ্ঠানে অতিথিরা এইসব কথা বলেন৷
বক্তারা আরও বলেন, শুধুমাত্র উন্নত দেশগুলো প্রযুক্তি উদ্ভাবন করবে আর আমরা প্রান্তিক ব্যবহারকারী হিসেবে সেইসব প্রযুক্তি ব্যবহার করবো – এই ধরনের মানসিকতা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। আমাদের তরুণদের দেশীয় চাহিদার উপর ভিত্তিই করে দেশীয় ইকোইকোস্টেমের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রযুক্তি আবিস্কার করে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে হবে৷
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বুয়েটের উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, আইইইই বাংলাদেশ সেকশনের এই ধরনের আয়োজন শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করবে এবং ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আরও বেশি করে গবেষণাধর্মী পুরস্কার অর্জন করতে সহযোগিতা করবে৷
আইইইইর কনফারেন্স এবং কম্পিটিশনগুলোর জেনারেল চেয়ার এবং চেয়ার অব আইইইই গ্লোবাল উইমেন এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অধ্যাপক ড. সেলিয়া শাহনাজ বলেন, শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনার প্রদান করার এই ধারা আইইইই বাংলাদেশ অব্যহত রাখবে এবং উদ্ভাবনী ও স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরিতে আইইইই বাংলাদেশ সেকশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ আমিনুল এহসান, আইইবির প্রতিনিধি সহকারী সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. রনক আহসান,সেকশন চেয়ার ড. মোহাম্মদ মশিউল হক, কনফারেন্সগুলোর টেকনিক্যাল চেয়ার ড. শেখ আনোয়ারুল ফাত্তাহসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, শিক্ষার্থী এবং ইন্ডাস্ট্রি এক্সাপার্টবৃন্দ৷
অনুষ্ঠানে ২০২১-২২ সালের আইইইই’র আয়োজিত ২৫ টি কনফারেন্স এবং কম্পিটিশনের মোট ৩৬১ জনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়৷ সংবর্ধনা শেষে সবাইকে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট এবং প্রাইজ মানি প্রদান করা হয়৷