সরকার ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়ায় এবং শুল্ক কমানোর সুপারিশে ডিমের দাম কমতে শুরু করেছে। গত দুই দিনে ডিমের দাম প্রতি ডজনে ৩০ টাকা কমে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুই দিন আগে এটি বিক্রি হয়েছিল ১৮০ টাকায়।
ডিম ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন জেলায় সাম্প্রতিক বন্যার কারণে পোলট্রি শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার ফলে ডিমের সরবরাহ কমেছে। এ কারণে দাম বেড়ে যায়। তবে তারা সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, যা বাজারে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে।
রাজধানীর কয়েকটি বাজারে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে ফার্মের মুরগির এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়, जबकि পাইকারি আড়তে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) জানিয়েছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ডিমের দাম ৮০ থেকে ১১০ টাকার মধ্যে ছিল। রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের পর দাম বেড়ে ১৫০–১৬৫ টাকায় পৌঁছায়।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সরকারের পদক্ষেপে ডিমের দাম কিছুটা কমেছে, কিন্তু সিন্ডিকেট ও উৎপাদন খরচ কমানো না হলে দাম স্থায়ীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না।
গত ৮ অক্টোবর সরকার সাতটি প্রতিষ্ঠানকে ৪ কোটি ৫০ লাখ ডিম আমদানির অনুমতি দেয়, কিন্তু আমদানি প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হওয়ায় ডিম আসেনি। বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠনের ঘোষণাও দিয়েছে সরকার।