ইসরায়েলের সঙ্গে অস্ত্র আমদানি, রপ্তানি ও পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে স্লোভেনিয়া। ইসরায়েলের মন্ত্রীদেরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার দুই সপ্তাহ পর স্লোভেনিয়া বৃহস্পতিবার থেকে বাণিজ্যে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল।
সরকারের এক বিবৃতি উধ্দৃত করে স্লোভেনিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসটিএ একথা জানিয়েছে। সরকারি একটি বৈঠকের পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী রবার্ট গোলোব এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন।
গাজায় যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ইউরোপে স্লোভেনিয়াই প্রথম ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ নিল বলে জানিয়েছে এসটিএ।
গত বছর জুনে স্লোভেনিয়া ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেয়। এরপর থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি করা এবং মানবিক সহায়তা বাড়ানোর জন্য আহ্বান জানিয়ে আসছে দেশটি।
স্লোভেনিয়ার সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা ‘স্বাধীনভাবে’ এ পথে এগুচ্ছে। কারণ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন জোটের “অভ্যন্তরীন মতানৈক্যের কারণে এবং একতার অভাবে বাস্তবিক কোনও পদক্ষেপ নিতে পারছে না।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “গাজায় বিপর্যয়কর যুদ্ধের মধ্যে যেখানে মানুষ মারা যাচ্ছে… কারণ, প্রতিনিয়তই তাদের কাছে মানবিক ত্রাণ পৌঁছতে দেওয়া হচ্ছে না। এ পরিস্থিতিতে ব্যবস্থা নেওয়া যে কোনও দায়িত্বশীল রাষ্ট্রের কর্তব্য। এমনকি সেটি অন্যান্যদের চেয়ে আগে নিতে হলেও।”
গাজায় যুদ্ধের কারণে স্লোভেনিয়া গত ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকেই ইসরায়েলে অস্ত্র ও অন্যান্য সাজ-সরঞ্জাম রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া বন্ধ রেখেছে।
তাছাড়া, জুলাই মাসের শুরুর দিকে স্লোভেনিয়া ইইউ এর প্রথম দেশ হিসাবে ইসরায়েলের দুই কট্টর-ডাপন্থি মন্ত্রীর স্লোভেনিয়ায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করে।
ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকারের মারাত্মক লঙ্ঘন এবং চরম সহিংসতা চালানোর অভিযোগে ইসরায়েলের এই মন্ত্রীদেরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে স্লোভেনিয়া। এবার দেশটি ইসরায়েলের সঙ্গে অস্ত্র বাণিজ্য নিষিদ্ধ করল।
গাজায় ইসরায়েলের বেপরোয়া অভিযানের প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য এবং কানাডাও ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
তবে ইসরায়েল গত সপ্তাহে এর নিন্দা জানিয়ে বলেছে, দেশগুলোর এই পদক্ষেপ ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পুরস্কারস্বরূপ।
ইসরায়েল বলছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে ঢুকে হামাস যোদ্ধাদের হামলার পর এমন পদক্ষেপ মেনে নেওয়া যায় না।