ঢাকার কেরানীগঞ্জে ব্যাংক ডাকাতি চেষ্টার ঘটনায় আত্মসমর্পণ করা তিনজন জানিয়ে ছিলেন, তারা কিডনি রোগীর চিকিৎসার জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে ব্যাংক ডাকাতির পরিকল্পনা করেছিলেন। তবে পুলিশ তদন্তে এই দাবি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। আসামিরা জানায়, তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল আইফোন কেনার জন্য অর্থ সংগ্রহ করা।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা-পুলিশের রিমান্ডে এক আসামির স্বীকারোক্তি এবং দুই আসামির জবানবন্দির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়। গ্রেপ্তার আসামির মধ্যে লিয়ন মোল্লা (২২), যার বাড়ি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার কুমুরিয়া গ্রামে, পেশায় গাড়িচালক। অন্য দুজন কিশোর, বয়স ১৬ বছর, কেরানীগঞ্জের কদমতলী খালপাড় এলাকার বাসিন্দা।
লিয়ন মোল্লা পুলিশকে জানিয়েছেন, এক খেলার মাঠে দুই কিশোরের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর ব্যাংক ডাকাতির পরিকল্পনা তাদের জানান এবং সফল হলে তাদের আইফোন কিনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। তারা এক সপ্তাহ ধরে ব্যাংক এবং আশপাশের এলাকা পর্যবেক্ষণ করে। এরপর গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা রূপালী ব্যাংকের জিনজিরা শাখায় ঢুকে ১০ ব্যাংক কর্মকর্তা এবং ৬ গ্রাহককে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ ১৫ লাখ টাকা লুট করে।
এ ঘটনায় রূপালী ব্যাংকের শাখার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা তারেক মাহমুদ বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্তে এই ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। রিমান্ডে আসামিরা জানায়, তারা কিডনি রোগীকে সাহায্য করার গল্প তৈরি করেছিল যাতে মানুষের সহানুভূতি অর্জন করা যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, লিয়ন মোল্লা এর আগেও কয়েকটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত ছিলেন। রিমান্ডে তাকে আরও ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।