ফেনী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ফলেশ্বর এলাকায় ষাটোর্ধ্ব এক গৃহপরিচারিকার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে ফেনী মডেল থানার ওসি মর্ম সিংহ ত্রিপুরা নিশ্চিত করেছেন।
নিহত মাসুদা বেগম (৬৫) ফেনী সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের পিঠাপাশারী এলাকার মোস্তফা ভূঁঞা বাড়ির সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী। তিনি দীর্ঘ দুই দশক ধরে সাবেক পৌর কাউন্সিলর গোলাম ফারুকের বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করে আসছিলেন।
ওসি জানান, বৃহস্পতিবার রাতে মাসুদার ঘর থেকে চিৎকার শুনে ওপর তলা থেকে নেমে আসেন গোলাম কিবরিয়া বকুলের স্ত্রী সোনিয়া আক্তার। মাসুদার ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ থাকায় সন্দেহ হলে তিনি ওপর তলায় গিয়ে অন্যদের জানানোর জন্য উঠতেই রক্তাক্ত ছুরি হাতে এক যুবককে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখেন। পরে নিচে এসে বকুলের ঘরের সোফার নিচে মাসুদার রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহতের ছেলের বউ জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, তার শাশুড়িকে গত সোমবার ঢাকার লোকজন এসে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল কাজের জন্য। নিহতের আরেক ছেলের বউ রাহেনা আক্তার বলেন, বৃহস্পতিবার বিকালে শাশুড়ির চাহিদামতো ওষুধ ও পান কিনে দিয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। রাতে ফোন পেয়ে তারা গিয়ে দেখতে পান শাশুড়ির মরদেহ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
ওসি মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন, “নিহতের দুই কান কাটা এবং মুখ, চোয়াল ও গলায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্তে থানা পুলিশ, ডিএসবি, পিবিআই ও সিআইডি কাজ করছে।”
তিনি আরও জানান, ভবনের সিসিটিভি ফুটেজে রাত ৯টা ১৩ মিনিটে কালো প্যান্ট ও সাদা চেক শার্ট পরা এক যুবককে ভবনে প্রবেশ করতে এবং ৯টা ১৭ মিনিটে ছুরি হাতে ভবন থেকে দৌড়ে বের হতে দেখা গেছে। যুবককে শনাক্তে কাজ চলছে।