BMBF News

চিন-জো-কুকি ঐক্যের আহ্বানে বিতর্কিত মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী

মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লালদুহোমার সাম্প্রতিক বক্তব্য ঘিরে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে তুমুল আলোচনা। যুক্তরাষ্ট্র সফরে দেওয়া তার একটি বক্তব্য পুনঃপ্রচারে মিজোরামের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এটি নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছে।

গত সেপ্টেম্বর ইন্ডিয়ানাপোলিসে প্রবাসী ভারতীয়দের এক অনুষ্ঠানে লালদুহোমা চিন-কুকি-জো জনগোষ্ঠীর ঐক্যের পক্ষে মন্তব্য করেন। তিনি দাবি করেন যে, এই জনগোষ্ঠী ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিকভাবে ঘনিষ্ঠ এবং তাদের আন্তর্জাতিক সীমানা দিয়ে বিভক্ত করা হলেও ঐক্যের মাধ্যমে জাতীয়সত্তা গঠনের সুযোগ আছে। তিনি বলেন, “ঈশ্বরের কৃপায় আমরা এক নেতৃত্বের অধীনে আমাদের জাতিসত্তার গঠন করতে পারি।”

লালদুহোমার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ভারতের একাংশে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী এজেন্ডা’ চালানোর অভিযোগ উঠেছে। কেউ কেউ এ মন্তব্যকে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও ভারতের চিন-কুকি-জো জনগোষ্ঠীর একত্রে একটি আলাদা জাতিগোষ্ঠী গঠনের উসকানি হিসেবে দেখছেন। নর্থ ইস্ট লাইভ এবং ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই দাবি মিজোরামের প্রধান নির্বাচনি ইস্যুতে পরিণত হয়েছে।

মিজোরাম চুক্তি এবং এমএনএফ আন্দোলনের সাথে কুকি-জো জাতিগোষ্ঠীর ঐক্যের ধারণা জড়িত। ১৯৮৮ সালের জোরো গঠনের মাধ্যমে এই জনগোষ্ঠীর পুনর্মিলনের প্রচেষ্টা শুরু হয়। লালদুহোমার মতে, বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতায় এই পুনর্মিলন অসম্ভব নয়।

ভারতের অভ্যন্তরে চিন-কুকি-জো ঐক্যের এই ধারণাটি জনগণের মধ্যে ব্যাপক সমর্থন লাভ করেনি বলে জানা গেছে। এর ফলে মিজোরামে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।