জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের আলটিমেটাম দিয়েছেন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা। গতকাল রাজধানীতে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তাঁরা এই দাবি জানান। তাঁদের অভিযোগ, মুয়ীদ চৌধুরী প্রশাসনিক সংস্কারে এমন সুপারিশ করেছেন যা ক্যাডারের স্বার্থের বিরুদ্ধে।
গত বুধবার ঢাকার ইস্কাটনে বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা সমাবেশ করেন। তারা বলেন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন ক্যাডারের পদের কোটা কমানোর প্রস্তাব দিয়ে প্রশাসনকে দুর্বল করার ষড়যন্ত্র করছে। বক্তারা বলেন, মুয়ীদ চৌধুরীকে অপসারণ না করা হলে তাঁরা নিজেদের উদ্যোগে ব্যবস্থা নেবেন।
এক কর্মকর্তা বলেন, “৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মুয়ীদ ভাইয়ের অপসারণ চাই। সরকার যদি অপসারণ না করে, কীভাবে অপসারণ করতে হবে, সেই পন্থা আমাদের জানা আছে।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারি কর্মচারীদের এ ধরনের প্রতিবাদ চাকরিবিধি ও শিষ্টাচার লঙ্ঘন। সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালার ৩০ ধারা অনুযায়ী, সরকারি আদেশের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ এ কে এম আবদুল আউয়াল মজুমদার মনে করেন, এই সংকট সমাধানে সরকারের সঠিক উদ্যোগ প্রয়োজন। তিনি বলেন, “সংস্কার কমিশনের মেয়াদ আরও তিন মাস বাড়িয়ে তাদের কাজ শেষ করার সুযোগ দেওয়া উচিত।” বিশ্লেষক ফিরোজ মিয়া বলেন, “শৃঙ্খলার অভাব ও শিষ্টাচারের লঙ্ঘন শক্ত হাতে দমন করা উচিত।”
জনপ্রশাসন সংস্কার নিয়ে চলমান উত্তেজনা এবং কর্মকর্তাদের আলটিমেটাম দেশের প্রশাসনিক শৃঙ্খলার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারের দ্রুত এবং সঠিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এই সংকট নিরসন করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।