BMBF News

জমিজমা বিরোধের মামলায় দুমকিতে স্কুল শিক্ষক কারাগারে

৬১
কামাল হোসেন বিশেষ প্রতিনিধি:

 

 

 

জমিজমা বিরোধের সংঘর্ষের মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানার আসামি জয়গুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক সজল পাইনকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে আদালত।

গত বৃহস্পতিবার  (১৭ এপ্রিল)   মামলার ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে মুরাদিয়া বোর্ড অফিস বাজার থেকে বাউফল থানা পুলিশ সজল পাইন কে আটক করে ওই দিনই আদালাতে সোপর্দ করলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরন করেন।
মামলাসূত্রে জানাজায় বাউফল উপজেলার বগা ইউনিয়নের  সন্যাসী কান্দা এলাকার সমির রঞ্জন পাল ও সজল পাইন গংদের মধ্যে জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর বিরোধীয় জমির ধান কাটা নিয়ে প্রতিপক্ষের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে গুরুত আহত সমির রঞ্জন পাইনকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। এঘটনায় সমির রঞ্জন পটুয়াখালী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতিপক্ষের ৬জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন মামলা নং সিআর ৭০০/২৪। মামলায় আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হলে গত ১৭ এপ্রিল পাশ্ববর্তী  দুমকি থানাধীন বোর্ড অফিস বাজার থেকে ১নং আসামী সজল পাইন কে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেন।
সজল পাইন দুমকি উপজেলাধীন মুরাদিয়া জয়গুননেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ধর্মীয় (হিন্দু) শিক্ষক। এক সপ্তাহ পুর্বে  গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে থাকা শিক্ষকের বিষয় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এবিষয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সত্য রঞ্জন দাস বলেন, আমি শুনেছি তবে পাবলিক পরীক্ষায় একটু ব্যাস্ত আছি বলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাতে পারিনাই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুজর মোহাম্মদ ইজাজুল হক বলেন বিষয়টি আমি অবগত নয়। অবগত হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মুজিবর রহমান প্রতিবেককে বলেন বিষয়টি আমি অবগত নই।  তবে আমি খোঁজখবর নিয়ে দেখছি। তিনি আরও বলেন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একজন  এমপিও ভুক্ত শিক্ষক কোন কারনে জেল হাজতে থাকলে তাকে স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটি সাময়িক বরখাস্ত করবেন।