আজ বিজয়ের ৫৩তম বার্ষিকীতে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা।
সোমবার সকাল সাড়ে ৬টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রথমে স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর সকাল ৭টায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ও পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট একত্রে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। স্মৃতিসৌধে পৌঁছালে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানান প্রধান উপদেষ্টা।
শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় তিন বাহিনীর চৌকস দল সামরিক কায়দায় সালাম জানায় এবং বিউগলে করুণ সুর বাজিয়ে শহীদদের স্মরণ করা হয়। পরে রাষ্ট্রপতি, সরকারপ্রধান এবং বিদেশি অতিথি শহীদ বেদীর সামনে নীরবতা পালন করেন, স্মরণ করেন মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদ, সম্ভ্রমহারা দুই লাখ মা-বোন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তারা স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইয়ে অনুভূতি লিপিবদ্ধ করেন।
এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীকের নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারের সদস্য, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বিদেশি কূটনীতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
বিজয়ের ৫৩ বছর-
স্বাধীনতার দীর্ঘ সংগ্রামের অবসান ঘটিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করলে বাংলাদেশের বিজয় নিশ্চিত হয়। সেই স্মরণীয় দিনটিকে উদ্যাপনে ভোরে ঢাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা হয়।
ভিআইপিদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর জাতীয় স্মৃতিসৌধ সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। পতাকা হাতে জনতার ঢল স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে ভিড় করে। শহিদ বেদীতে ফুলের স্তূপ জমে ওঠে।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত পরিণতি এসেছিল ১৬ ডিসেম্বর, যখন পাকিস্তানি বাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল আমীর আব্দুল্লাহ খান নিয়াজী ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন। বিজয় দিবস তাই বাংলাদেশের জাতীয় জীবনের এক অনন্য দিন, যা স্বাধীনতা এবং বিজয়ের যৌথ উৎসবের উপলক্ষ।