চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে ইউরিয়া সারবাহী আল বাখেরা জাহাজে সাতজনকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় পুলিশ ডাকাতির সন্দেহ করছে না। কারণ, জাহাজ থেকে কোনো মালামাল খোয়া যায়নি, এমনকি নিহতদের ব্যক্তিগত জিনিসপত্রও সুরক্ষিত রয়েছে।
সোমবার বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে নৌ পুলিশের পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান জানান, ঘটনাটি সাধারণ ডাকাতি বলে মনে হচ্ছে না। “সারসহ জাহাজের কোনো মালামাল চুরি হয়নি। এমনকি নিহতদের মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগও পাওয়া গেছে। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের ইঙ্গিত দিচ্ছে,” তিনি বলেন।
প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব শত্রুতা কিংবা ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে। পুলিশ সুপার আরও বলেন, “প্রতিটি কক্ষে ঢুকে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে। সাধারণ ডাকাতরা এ ধরনের আচরণ করে না।”
জাহাজটি চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায় নোঙর করা ছিল। সেখানে গিয়ে পাঁচটি লাশ উদ্ধার করা হয়। গুরুতর আহত তিনজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর দুজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। বেঁচে থাকা জাহাজকর্মী জুয়েল রানার (২৩) অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জাহাজটির মালিক মাহবুব মোরশেদ বিপলু জানান, রোববার রাত ৮টার পর জাহাজের মাস্টারের সঙ্গে সবশেষ যোগাযোগ হয়। এরপর থেকে জাহাজটির সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ ঘটনায় শিল্প মন্ত্রণালয় চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।