রাকিবুজ্জামান, দশমিনা, পটুয়াখালী:
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যায্য বেতন কাঠামো নির্ধারণ, গ্রেড সংখ্যা কমানো ও পে-স্কেল বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন দাবি আদায়ের লক্ষ্যে পটুয়াখালীর দশমিনায় “কর্মকর্তা/কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ ও বাস্তবায়ন সভা ২০২৫” অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদের কনফারেন্স রুমে শিক্ষক-কর্মচারী নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ ও বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি মো. সাইদুর রহমান ও সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আওলাদ হোসেন।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক খায়ের আহমেদ মজুমদার।
বক্তব্যে তিনি বলেন—
“একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে সরকারি কর্মচারীদের অধিকারকে অবমূল্যায়ন করছে। আমরা বিদেশে বাড়ি করতে চাই না; আমরা শুধু সম্মানজনক জীবন চাই—মোটা ভাত, মোটা কাপড়, এবং পরিবার-পরিজন নিয়ে নিরাপদে বেঁচে থাকার অধিকার চাই। এই বৈধ দাবি উপেক্ষা করলে আন্দোলন ছাড়া পথ থাকবে না।”
প্রধান বক্তা সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের মুখপাত্র আব্দুল মালেক বলেন—
“সরকারি কর্মচারীরা কোনো ফাইল অনুমোদনের দায়িত্বে না থাকায় তারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন। দুর্নীতির দায় মূলত যারা ফাইলে স্বাক্ষর করেন তাদের ওপরই বর্তায়। কর্মচারীরা সবসময় স্বচ্ছতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে থাকেন।”
সভায় উপস্থিত কর্মচারীরা বেতন কাঠামো সংস্কার ও সুবিধা বৃদ্ধির জন্য কয়েকটি দাবি পুনরায় উপস্থাপন করেন। এগুলো হলো—
বেতন অনুপাত ১:৪ নির্ধারণ
গ্রেড সংখ্যা কমিয়ে ১২টি করা
সর্বনিম্ন বেতন ৩৫,০০০ টাকা নির্ধারণ
৯ম পে-স্কেল দ্রুত বাস্তবায়ন
সভায় বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব রাজীব মিয়া, সাধারণ সম্পাদক—৯ম পে-স্কেল বাস্তবায়ন কমিটি।
এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন—
উপজেলা নবম পে স্কেল বাস্তবায়ন কমিটির
সহ-সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, মো. ফোরকান, মো. শিহাব উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আনিহ আহমেদ
ও অর্থ সম্পাদক মো. সোহাগ মৃধা।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি সভাপতি
মোঃ আবু জাফর ও মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি আহ্বায়ক মোঃ রফিকুল ইসলাম
সভা পরিশেষে বক্তারা আরো বলেন,
ন্যায্য দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।