মোঃ রাকিবুজ্জামান দশমিনা পটুয়াখালী:
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় ঘরের সামনে নতুন করে ঘর তোলাকে কেন্দ্র করে আপন দুই ভাইয়ের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নারীসহ দুইজন আহত হয়েছেন। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের পূর্ব রনগোপালদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন— মো. মাইনুদ্দিন খান (পিতা: বশার খান), তার স্ত্রী জাহিদা আক্তার এবং তার আরেক ভাবী পারভিন আক্তার (স্বামী: সোহেল খান)। আহতদের মধ্যে দুইজন বর্তমানে দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, মাইনুদ্দিন খানের ছোট ভাই নুর আলম এবং তার স্ত্রী জান্নাত আক্তার এ হামলার সঙ্গে জড়িত।
আহত মাইনুদ্দিন খান জানান, ঘরের সামনে ঘর তোলাকে কেন্দ্র করে তিনি আপত্তি জানালে তার ছোট ভাই নুর আলম ও তার স্ত্রী জান্নাত আক্তার ক্ষিপ্ত হয়ে তার, তার স্ত্রী জাহিদা আক্তার এবং আরেক ভাবী পারভিন আক্তারের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তাদের হাতে থাকা একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
আহত পারভিন আক্তার বলেন, “আমার ভাশুর নুর আলম ও তার স্ত্রী হঠাৎ করে আমার ওপর হামলা চালায়। তারা আমার মাথার চুল টেনে ছিঁড়ে ফেলে।”
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জাহাঙ্গীর আলম জানান, ঘটনার দিন সকালে তিনি ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ অভিযুক্তদের বিষয়টি নিয়ে কোনো ধরনের সংঘর্ষে না জড়াতে নিষেধ করেছিলেন। গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হলেও তারা তা অমান্য করে বিকেলে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
গ্রাম পুলিশ সাইফুল ইসলাম বলেন, “ঘটনার দিন সকালে আমি অভিযুক্তদের বাড়িতে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত রাখতে বলেছিলাম এবং গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে সমাধানের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের কথা না শুনে বিকেলে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে।”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নুর আলম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। উল্টো তারাই আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।”
এ বিষয়ে দশমিনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(ওসি) মোঃ হাচনাইন পারভেজ
বলেন, এবিষয় কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।