দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :
পটুয়াখালীর দুমকিতে উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মো: সালাউদ্দিন আহমেদ রিপন শরীফকে দল থেকে বহিষ্কার করায় স্থানীয় নেতা কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। তারা বলছেন এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া কিছুই না। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নেতা কর্মীদের ক্ষোভের ঝড় বইছে। কর্মীরা বলছেন, রিপন শরীফ একটি আদর্শের নাম। বিগত ১৬ বছরে রিপন শরীফ ছাড়া দুমকিতে একটি মিছিলও বের হয়নি। প্রত্যেকটা মিছিলে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। একাধিক রাজনৈতিক মামলায় জেল খেটেছেন। হামলা, মামলা, শারীরিক নির্যাতনসহ এমন কোন জুলম নেই যা থেকে রিপন শরীফ বাদ গেছেন তাই এর প্রতিফলন কি এই বহিষ্কার? ইমাম হোসেন নামের একজন তার ফেসবুক আইডিতে লিখছেন, পুরাই চক্রান্তের শিকার, ভাই যখন ভাইয়ের বিরুদ্ধে স্বার্থের জন্য ট্যাগ লাগায়,ধিক্কার জানাই এই নোংরা রাজনীতির, দুমকি উপজেলার ভিতর জেল জুলুম হমালা মামলা রিমান্ড খাওয়া এমন কোন দ্বিতীয় ব্যক্তি নাই যে তার মতন ত্যাগী। সে একজন সাচ্চা দেখি কর্মী তাই তার সদস্য পদ পূর্ণবহালের দাবি জানাই। রাকিব শরীর তার ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, দলের জন্য রিপন ভাই কি-না করলো,
একবার না, একাধিক বার না, প্রায় শতাধিক বার দলীয় বিভিন্ন রকম মামলায় ভাই গ্রেফতার হয়েছে। আজ তার প্রতিদান এভাবে দিচ্ছে দল…?
দুমকি উপজেলা যুবদলের “সদস্য সচিব” রিপন শরীফের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চাই✊✊
রিপন শরীফ কে নিয়ে অনেক বড় ষড়যন্ত্র চলছে কারণ রিপন শরীফের জন্য দুমকিতে কেউ চাঁদাবাজি সহ বিভিন্নরকম অপকর্ম করতে পারে না। যেখানেই অপকর্ম সেখানেই রিপন শরীফ বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাই রিপন শরীফের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম ষড়যন্ত্র করে রিপন শরীফ-কে পথ সহ দল থেকে বহিষ্কার করিয়ে একদল অপশক্তি তাদের অপকর্ম চালিয়ে যেতে চায়। দলের জন্য রিপন শরীফের যে আত্মত্যাগ রয়েছে তা দুমকি উপজেলায় অন্য কোন নেতার নেই। তাই রিপন শরীফের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চাই। রাহাত নামের একজন লিখেছেন, ব্যক্তি সালাউদ্দিন রিপন শরীফ, রাজনীতিবিদ রিপন শরীফ,কেমন ব্যক্তি সেটা দুমকি উপজেলা পটুয়াখালী জেলার সবাই অবগত। আমার মতে তিনি একজন অসাধারণ ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ। বিএনপির দুঃসময় নিজেকে সব সময় বিলিয়ে দিয়ে দিয়েছেন জীবনের মায়া ত্যাগ করে। মিথ্যা মামল কারাবরণ করেছেন কখনো পালিয়ে বেড়াইনি। অত্যাচারিত হয়েছেন কিন্তু দলের প্রয়োজনে কখনোই পিছু হটে নি। অনেক নেতা আসছে গেছে কিন্তু তিনি সব সময় এক বাক্যে অনর ছিলেন সেটা দলের প্রয়োজনে, জনগণের প্রয়োজনে। সেই দুমকি উপজেলা যুবদলের তথা পটুয়াখালী জেলার কান্ডারী সালাউদ্দিন রিপন শরীফ ও মিথ্যা ষড়যন্ত্রে দল থেকে বহিষ্কার হয়। রাজনীতি আসলেই রাজনীতি। কোথায় ছিল দুর্দিনে এই রাজনীতিবিদগুলো।রিপন শরীফের মত একজন ত্যাগী নেতা অত্যাচারিত নেতা ও ভালো মানুষের সাথে এরকম ষড়যন্ত্র মেনে নেওয়ার মতো না। দয়া করে কেউ মিথ্যা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত না হয়ে যোগ্য ব্যক্তিকে যোগ্যতার স্থান ও প্রাপ্ত সম্মান ফিরিয়ে দেয়া হোক এবং বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হোক। এটাই কাম্য। ভালোবাসা অবিরাম প্রিয় কাকা,দুমকি উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব জনাব সালাউদ্দিন রিপন শরীফ। এছাড়াও অসংখ্য নেতাকর্মীরা রিপন শরীফের বহিষ্কারদেশ প্রত্যাহার চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন।
উল্লেখ্য গতকাল মঙ্গলবার যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূইয়া স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার দায়ে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।