কামাল হোসেন বিশেষ প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর দুমকিতে গ্রীন স্কয়ার হাসপাতালে রোগীদের অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে অপারেশন চলাকালীন সময়ে অভিভাবকদের ডেকে বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে বাড়তি টাকা আদায়ের অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। নিয়মিত ডাক্তার না থাকা, টেকনিশিয়ান দিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার রিপোর্ট দেওয়া, সেবার মান না থাকা সহ বিভিন্ন অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
সোমবার (১৬ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টায় দুমকি থানা ব্রীজ সংলগ্ন হাসপাতালটিতে গিয়ে কোন ডাক্তার পাওয়া যায় নি, এসময় শারমিন আক্তার কলি ও বিথী নামের রোগীর অভিভাবকরা এসব বিষয় অভিযোগ করেন।
শারমিন আক্তার কলি’র স্বামী মোঃ সোহেল প্রতিবেদককে বলেন গত শুক্রবার তার স্ত্রী কে সিজার করানোর জন্য পনের হাজার টাকা প্যাকেজ চুক্তিতে এ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সকল পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে ডা. রিফাহ্ তামান্না প্রমি রোগীকে সিজার করতে অপারেশন থিয়েটারে নেয়। কিছুক্ষন পর তাকে ডেকে অপারেশন থিয়েটারের ভিতরে নিয়ে ডাক্তার বলেন আপনার স্ত্রীর আগের সিজারের সময়ে গজ, সূতা রয়ে গেছে। এগুলো পরিস্কার করতে আপনাকে আরও পাঁচ হাজার টাকা অতিরিক্ত দিতে হবে।
উপস্থিত আরিফ হোসেন বলেন তার স্ত্রী বিথী আক্তার কেও কয়েকদিন আগে এখানে সিজার করিয়েছেন, তার সাথেও একই আচরন করা হয়েছে। রোগীকে অপারেশন থিয়েটারে রেখে তাকে ডেকে নিয়ে ডাক্তার বলেন আপনার স্ত্রীর এ্যাপেনডিস আছে যা এই মূহুর্তে অপারেশন না করলে সমস্যা হবে, আপনি পাঁচ হাজার টাকা অতিরিক্ত দিবেন আমি অপারেশন করে দিচ্ছি।
কর্তব্যরত ম্যনেজার বলেন আমি এ রোগীর সাথে কন্ট্রাক্ট করি নাই। আর অপারেশন থিয়েটারে ডাক্তার চাওয়ার বিষয় আমি অবগত নই।
এ বিষয় ডাক্তার রিফাহ্ তামান্না প্রমি’র মোবাইলে একাধিকবার কল করলে তিনি রিসিভ করে নাই।
হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোতালেব হোসেন বলেন বিষয়টি আমি একটু আগেই শুনেছি, আমি রোগীর অভিভাবকদের সাথে কথা বলে দুঃখ প্রকাশ করেছি। আমাদের কর্তৃপক্ষ বিষয়টি মানবিকতার সাথে দেখে নাই। রোগীর অভিভাবকে চুক্তি মোতাবেক ১৫হাজার টাকাই পরিশোধ করতে বলেছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মীর শহিদুল ইসলাম সাহিন বলেন এ বিষয় ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ করলে আমরা ব্যাবস্থা নিবো।