BMBF News

দুমকীতে ইউপি সদস্যের পরিকল্পনায় ধর্ষণ মামলায় জড়ানোর অভিযোগ

২৯
মেহেদী হাসান, দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ

 

পটুয়াখালীর দুমকীতে এক ইউপি সদস্যের পরিকল্পনায় মোঃ রাসেল হাওলাদার(৩৫) নামে এক যুককে ধর্ষণ মামলায় জড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

অভিযুক্ত নাসির হাওলাদার মুরাদিয়ার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। যদিও নাসির হাওলাদার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
বুধবার(২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় দুমকী প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে নাসির হাওলাদারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন রাসেল হাওলাদারের স্ত্রী নাজিয়া আক্তার। তিনি লিখিত বক্তব্যে জানিয়েছেন , গত নির্বাচনে নাসির মেম্বারের পক্ষে তাঁর স্বামী সমর্থন না করায় ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিবেশী কহিনুর বেগমকে কুপরামর্শ দিয়ে তাঁর স্বামীকে অহেতুক মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছেন। মামলায় উল্লেখিত সময়ে তাঁর স্বামী পার্শ্ববর্তী কাসেম আকনের বাড়িতে পারিবারিক শালিসিতে উপস্থিত ছিলেন।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার(২২ সেপ্টেম্বর) উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে দুপুর ১ টার দিকে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী জোসনা আক্তার নামে এক তরুনী ধর্ষনের শিকার হন। এ ঘটনায় পরের দিন (২৩ সেপ্টেম্বর) দুমকী থানায় মোঃ মোক্তার মৃধাকে ধর্ষণ এবং মোঃ রাসেল হাওলাদারকে ধর্ষণের প্ররোচনা ও সহায়তা করেছে উল্লেখ করে ভিক্টিম বুদ্ধি প্রতিবন্ধী জোসনা আক্তারের মা কহিনুর বেগম বাদি হয়ে থানায় মামলা করেন।
এদিকে সাংবাদিকদের দেয়া এক ভিডিও বক্তব্যে ধর্ষণের শিকার ওই তরুনী দাবি করে বলেন, সকাল ১০ টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে । কিন্তু মামলায় ঘটনার সময় দুপুরের দিকে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই ভিডিওতে তিনি আরও দাবি করে বলেন, আমার ইজ্জত নিয়ে কাড়াকাড়ি করছে, দুইজন। একটা রাসেল আর আরেকটা মোক্তার। কিন্তু মামলায় রাসেল হাওলাদারকে ধর্ষণে প্ররোচনা ও সহায়তা করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ভুক্তভোগী নারীর অন্য একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে সাংবাদিকদের বলতে শোনা গেছে রাসেল হাওলাদর মোক্তারকে পাঠিয়েছে এবং রাসেল রাস্তায় ছিলো।
রাসেল মোক্তারকে পাঠাইছে এটা কিভাবে বুঝলেন এমন প্রশ্নের জবাবে ওই তরুনী বলেন, এটা একটা চক্রান্ত। সকল ভিডিও ফুটেজ বাংলাদেশ সমাচারের প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে। রাসেলের সম্পৃক্ততার বিষয়ে ভুক্তভোগীর একেক সময় একেক রকম বক্তব্যের সময় পাশে থাকা তরুণীর মা কহিনুর বেগম বলেন, আউলাইয়া গেছে।
অপর দিকে প্রতিবেদকের কাছে থাকা এক ভিডিওতে দেখা যায়, ৫/৬ মাস আগে প্রতিবেশি অমল দাসের নামে জোসনা আক্তার ধর্ষণের অভিযোগ তুলে এক বয়স্ক লোকের কাছে অভিযোগ দিলে ওই বয়স্ক লোক অমল দাসের স্ত্রী ও জোসনা আক্তারকে নিয়ে এক জায়গায় বসে জিজ্ঞেসাবাদ করছেন। বয়স্ক ওই লোকের এক প্রশ্নের জবাবে জোসনা আক্তার বলেন, সত্যি হয়, সত্যিই তো করছে (ধর্ষণ করছে)। সবারই তো মরতে হবে,সত্যি।
বয়স্ক লোকটি পাল্টা প্রশ্ন করেন, অমল দাসের বউয়ের কাছে বলো নি কেন? উত্তরে বলছেন অমল দাসের বউ তখন বেড়াইতে গেছিল। এরপর পাশে থাকা অমল দাসের স্ত্রী জোসনা আক্তারকে জিজ্ঞেস করেন, আমি কি বেড়াইতে যাইয়া ৬ মাস ছিলাম? তুই প্রতিদিন ২/৩ বার আমার কাছে আসো কিন্তু তখন বললি না কেন।
এ বিষয়ে নাসির মেম্বরের মুঠোফোনে কল করে অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। রাসেল নির্বাচনে তাঁর সমর্থন করে নাই এমন কথা কোন দিন কাউকে বলেন নাই এবং রাসেল আমার চাচাতো খালাতো ভাই হয়।