মেহেদী হাসান, দুমকী প্রতিনিধিঃ
হেমন্তের হিমেল হাওয়া, রোদেলা দুপুর, শেষ বিকেলে কুয়াশার চাদঁরে ঢাকা, মধ্য রাতে শিশিরের টুপ টাপ শব্দ, শেষ রাতে ঘন কুয়াশা আর সকালে শষ্য ক্ষেতে ঠান্ডা বাতাস বয়ে যাচ্ছে। তারই সাথে পটুয়াখালীর দুমকীতে আগমন ঘটেছে শীতের। সাধারণত পৌষ মাঘ এ দুমাস শীত কাল হলেও আশ্বিন কার্তিক মাসেই প্রকৃতির নিয়মে শীত অনুভূত হয়। গত কয়েকদিন যাবৎ দিনের বেলায় গরম আবহাওয়া থাকলেও সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে পরদিন ভোর পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকে দিগন্ত জুঁড়ে সবুজ ফসলের মাঠ। সবুজ ধানের কচি পাতার ডগায় শিশির বিন্দু জমতে দেখা যায় সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত। রাত যত গভীর হয়, কুয়াশা ও শীতের তীব্রতা তত বেড়ে যায়। গভীর রাতে ঘরের টিনের চালায় শিশির বিন্দুর টিপ টাপ শব্দ মনে হয় যেন বৃষ্টি হচ্ছে। কুয়াশাচ্ছন্ন শুভ সকালে সূর্যোদয়ের আলোর ছটা দিগন্ত জুঁড়ে সবুজের সমারোহ আর শিশিরের লুকোচুরির খেলায় শীতের আগমনী বার্তা কড়া নেড়ে জানান দিচ্ছে। উপজেলা বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, ইতিমধ্যে সববয়সী মানুষ শীতের গরম পোশাক পরিধান শুরু করেছেন। আবার কোন কোন জায়গায় সকালের মিষ্টি রোদে পিঠ দিয়ে বয়স্কদের শীতের আগমনী খোশগল্প আর কে কয়টি গরম পোশাক পরিধান করেছেন সে হিসেব মিলাতে। গ্রাম কিংবা শহরের দোকানগুলোতে শীতের পোশাক বিক্রি শুরু হয়েছে বলে জানান পোশাক ব্যবসায়িরা। অপরদিকে ধনকাররা লেপ তোশক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বলে জানান তারা। গুরুত্বপূর্ণ বাজার, বাস¯ট্যান্ড, অটোস্টান্ড, রাস্তার পাশে শীতের মুখরোচক ভাপাপিঠা, চিতাই পিঠা, পাটিসাপটা পিঠা বিক্রি করা শুরু করেছে সকাল সন্ধ্যায়। শ্রীরামপুর ইউনিয়নের তালুকদার বাজার এলাকার মাওলানা হারুন অর রশীদ খান বলেন, শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় শীতের পোশাক পড়েছি। অপর এক বৃদ্ধ আকাব্বার আলী হাওলাদার (৭০) বলেন, দিনের বেলায় গরম পড়লেও সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত খুব শীত পড়েছে তাই আজকে ৪টি শীতের গরম পোশাক পড়েছি।আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের সুজন (২৬) বলেন, গত বছরের থেকে এ বছর শীত বেশি হওয়ার আশঙ্কা করছি। মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৮২ বছর বয়স্ক আমিনা খাতুন বলেন, হঠাৎ শীতের আগমনে ঠান্ডাজ্বর ও কাঁশি হয়েছে তাই শীতের পোশাক পড়েছি। এব্যাপারে দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.জিএম এনামুল হক ‘দৈনিক সাথী কে’ বলেন, শীতের আগমনে ঠান্ডাজ্বর, কাশি জনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এসময় সববয়সী মানুষের শীতের পোশাক পরিধান করা দরকার।