মেহেদী হাসান, দুমকি প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর দুমকীতেও অস্থির সবজি বাজার। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে কোনো সবজির দাম কমেনি। বরংচ আরও বেড়েছে। পেঁপে ছাড়া বেশিরভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে। এছাড়া মাছ ও পেঁয়াজসহ অধিকাংশ নিত্যপণ্যের দাম উর্ধ্বমুখি। এই অবস্থায় চরম অস্বস্তিতে পড়েছেন বাজার করতে আসা মধ্য ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) উপজেলার পিরতলা, রাজাখালী, মুরাদিয়া বোর্ড অফিস, কলবাড়ি ও তালুকদার হাট-বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সবজিসহ প্রতিটি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১৭০টাকা, পেইজ ইন্ডিয়ান ৮৫টাকা, বেগুন ১২০ টাকা, আলু ৬০ টাকা , করলা ১০০ টাকা, মূলা ৬০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, সিম ১৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, কচুর গাডি ৭০ টাকা, ঢেঁরস ৬০ টাকা, পেঁপে ২৫ টাকা, ঝিঙা ৭০ টাকা, কাঁচা কলার হালি ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৬০ টাকা, প্রতিপিস লাউ ৭০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে ফার্মের ডিম এক হালি ৫৫ টাকা, দেশি হাঁস, মুরগির ডিম ৭০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। বয়লার মুরগি ২০০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৫০ টাকা, গরুর মাংস ৮০০ ও খাসির মাংস ১১০০ টাকা করে কেজি বিক্রি হচ্ছে। নিম্নবিত্ত লোকজন পরিবারের চাহিদা মত বাজার করতে না পেরে হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে খালি ব্যাগ নিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছেন।
সাধারণ ক্রেতা দিনমজুর জাহাঙ্গীর মীরা আক্ষেপ করে বলেন, আমাদের মত সাধারণ মানুষের পক্ষে বাজার করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। যে টাকা রোজগার করি তার চেয়ে বাজার দর অনেক গুণ বেশি।
হাফেজ মাওলানা ইব্রাহিম নামের আরেক জন ক্রেতা জানান, মধ্য সুবিধাভোগী সিন্ডিকেটের জিম্মির ফলে একদিকে কৃষক তার সবজি বা ফসলের ন্যায্যমূল্য পায় না। অপরদিকে আমাদের মত সাধারণ ক্রেতাদের পকেট কাটা যায়।
তালুকদার হাটের কাঁচামাল ব্যবসায়ী মো. মিজান হাং বলেন, বাজারে সবজি সরবরাহ কম থাকায় দাম একটু বেশি। বাজারে সরবরাহ বাড়লে দাম কমে যাবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান বলেন, বাজার মনিটরিং জোরদার করা হবে এবং কোন অসাধু ব্যবসায়ী যদি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।