মেহেদী হাসান, দুমকী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
টেকনিশিয়ান না থাকায় দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে মেশিনটি দীর্ঘ ৫ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে হাড় ভাঙ্গা রোগী ও তাদের স্বজনদের। স্বল্প খরচের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি টাকা দিয়ে বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে এক্স-রে করতে হচ্ছে রোগীদের। এতে রোগী ও তাদের স্বজনরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একদিকে যেমন রোগীরা ভোগান্তি পোহাচ্ছে তেমনি সরকার বছরে বড় অংকের টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে।
দুমকি উপজেলা শহরসহ উপজেলাধীন ৫ টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক জনগণের সেবা দানের জন্য ২০০৩ সনে ৩১শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল স্থাপিত হয়। বর্তমানে সেটিকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
জানা গেছে, দুমকি উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে রোগীরা স্বল্প খরচে সঠিক সেবা নেওয়ার জন্য ওই হাসপাতালে যান। বিভিন্ন গুরুতর সমস্যা বা ভাঙাচোরা রোগীদের এক্স-রে করার প্রয়োজন হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক্সরে রিপোর্ট রোগীদের বাইরে থেকে করানোর পরামর্শ দেন। পরে উপায় না পেয়ে শহরের বিভিন্ন বেসরকারি প্রাইভেট ক্লিনিকে এক্স-রে করতে হয়। ফলে অসুস্থ ও মুমূর্ষ রোগীদের যাতায়াতে হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন টেকনিশিয়ান না থাকায় মেশিনটি দীর্ঘদিন ধরে তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সরকারি হাসপাতালে স্বল্প খরচের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি টাকা দিয়ে বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে এক্স-রে করতে হয় রোগীর স্বজনদের। ফলে রোগী ও তাদের স্বজনরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়াও দুমকি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া গুরুতর অসুস্থ রোগীর ক্ষেত্রে হাসপাতালের সিঁড়ি বেয়ে ওঠানামা করা এবং ক্লিনিকে যাতায়াতের ক্ষেত্রে পথিমধ্যে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় রোগী ও তাদের স্বজনদের।
এ ব্যাপারে দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্ত ডাঃ মীর শহীদুল হাসান শাহিন জানান, এক্স-রে মেশিনের টেকনিশিয়ান না থাকায় দীর্ঘদিন পড়ে থাকার কারণে ওই মেশিনের কার্যক্রম ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। একজন এক্সরে টেকনোলজিষ্ট এর জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলেও দীর্ঘদিন হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।