অনলাইন ডেস্ক:
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে রাজধানী ঢাকায় কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. মাইনুল হাসান। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে দুর্গাপূজার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, “জানা মতে দুর্গাপূজায় কোনো ধরনের হুমকি বা আশঙ্কা নেই। আমরা এখন পর্যন্ত কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি দেখতে পাইনি।”
তিনি আরও বলেন, “দুর্গাপূজা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব। ৯ থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত এই পূজা উদযাপন চলবে এবং বিজয়া দশমীর মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটবে। যদিও এটি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উৎসব, তবে বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষ এই আনন্দ ভাগাভাগি করে থাকে।”
ঢাকা মহানগরীতে এ বছর ২৫৩টি স্থানে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৩১টি এবং উত্তর সিটিতে ১২২টি পূজা মণ্ডপে পূজা উদযাপন হবে বলে জানান তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, “প্রতিটি পূজামণ্ডপে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন, থানা পুলিশের টহল ও চেকপোস্টের ব্যবস্থাসহ সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এছাড়াও উচ্চ ধারণক্ষমতা সম্পন্ন সিসি ক্যামেরা, মেটাল ডিভাইসের মাধ্যমে চেকিং ব্যবস্থা এবং আনসার ও স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়োজিত করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, পূজার সময় যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ট্রাফিক ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে। তবে পুরান ঢাকায় কিছু রাস্তা সরু হওয়ায় যানজটের সম্ভাবনা রয়েছে, তাই পূজামণ্ডপের আশপাশে মেলা বসতে না দেওয়ার জন্য পূজা কমিটির সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। বিজয়া দশমীর দিনে বিসর্জনের জন্য ঢাকায় ১৫টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
পুলিশ বাহিনীর মনোবল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আগস্ট মাসের ৬ তারিখে পুলিশের অবস্থা যা ছিল এবং আজ ৮ অক্টোবরের অবস্থা, সেটি আপনারাই বিচার করবেন। পূজায় আমরা দৃঢ় মনোবল নিয়ে দায়িত্ব পালন করবো।”
পুলিশ সদস্যদের হত্যার বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, “আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”