ওবায়দুর রহমান অভি, (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর গলাচিপায় পাটখড়ির গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ী কুদ্দুস হাওলাদারের অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টায় উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে আটখালী বাজার সংলগ্ন ওই গুদামে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে গলাচিপা ও দশমিনা ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে কাজ করছে।
এ ঘটনায় গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে গলাচিপা থানা পুলিশ, স্থানীয় বাসিন্দারা এবং গ্রাম পুলিশ।
জানা গেছে, আটখালী গ্রামের পাটখড়ি ব্যবসায়ী কুদ্দুস হাওলাদার (৪৫) দীর্ঘদিন ধরে এ ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। গুদামের সঙ্গে তার বসবাসের ঘরও রয়েছে। পুরো বিল্ডিং ছিল পাটখড়িতে ভর্তি। শনিবার সকালে তার স্ত্রী খাদিজা বেগম (৩৫) ও ছেলে নাহিদ ইসলাম (৭) ঘরে অবস্থান করছিলেন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে প্রতিবেশী সুরাইয়া বেগম (২৫) গুদামে আগুন দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করেন। তার ডাক শুনে বাবা সেলিম হাওলাদার (৫০) ছুটে এসে গুদামে আগুন দেখতে পান। পরে গুদাম ঘরে কুদ্দুস হাওলাদারের চিৎকার শুনে তিনি দ্রুত গেইটের তালা ভেঙে তাদের উদ্ধার করেন। ততক্ষণে আগুন পুরো গুদামে ছড়িয়ে পড়ে।
দশমিনা ফায়ার সার্ভিসের সাব-স্টেশন অফিসার কামরুল ইসলাম জাকির জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। স্থানীয়রাও আগুন নেভানোর কাজে সহায়তা করেছে।
ব্যবসায়ী কুদ্দুস হাওলাদার বলেন, সকালবেলা পাটখড়ি বিক্রি করে গেইট তালা মেরে ভেতরে বসে ভাত খাচ্ছিলাম। হঠাৎ পাটখড়ি পোড়ার শব্দ শুনে চিৎকার করি। এরপর প্রতিবেশী সেলিম হাওলাদার শাবল দিয়ে তালা ভেঙে আমাকে, আমার স্ত্রী ও ছেলেকে উদ্ধার করেন। কিন্তু আগুনের ভয়াবহতায় পুরো গুদামঘরে ছড়িয়ে পড়ে।
তিনি আরও বলেন, আগুনে ৪৮ লক্ষ টাকার ৮ বোর্ড পাটখড়ি ও ঘরের আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। আমার ধারণা, বিদ্যুৎ লাইন থেকে এই আগুন লেগেছে।
গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তবে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনই নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয় জনতা সম্মিলিতভাবে কাজ করছে।