মেহেদী হাসান শান্ত, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার আহ্বানের মধ্যদিয়ে ফুল ছিটিয়ে বরণ করে নেওয়া হলো পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি বেগম সুফিয়া কামাল হল ও বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আবাসিক পাঁচ শতাধিক নবীন ছাত্রীদের।
সোমবার সন্ধ্যা ৭ টায় অনুষ্ঠিত উক্ত নবীনবরণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে মুখরিত হয়ে ওঠে পবিপ্রবি’র ঐতিহ্যবাহী কবি সুফিয়া কামাল হল ও বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল প্রাঙ্গণ।
নবীন বরণ অনুষ্ঠান উপলক্ষে সাজানো হয় হল দু’টিকে। কেউ এসেছিলেন সেজে, কেউবা সাধারণ পোশাকে। সবাই মেতে ওঠেন হাসি-আনন্দ-আড্ডা-উল্লাসে। ছাত্রীদের এই আনন্দে মেতে ওঠেন শিক্ষকরাও।
নবীনদের পক্ষ থেকে সুফিয়া কামাল হলের আবাসিক ছাত্রী ও ফিসারিজ অনুষদের রিপা চক্রবর্তি এবং প্রজ্ঞা চক্রবর্তী সিক্তা তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত নবীনবরণে আসতে পেরে অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছে। আমাদেরকে এভাবে বরণ করে নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম স্যারকে ধন্যবাদ।
অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন কবি সুফিয়া কামাল হলের ছাত্রী কৃষি অনুষদের সিলমুন রহমান তুবা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাগত শিক্ষার্থীদের বরণে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পবিপ্রবি’র মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর মোঃ আবদুল লতিফ, স্বনামধন্য রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোঃ ইকতিয়ার উদ্দিন, কৃষি অনুষদের প্রফেসর ড. মোঃ হাবিবুর রহমান, এলএলএ অনুষদের ডিন প্রফেসর মোঃ জামাল হোসেন। উপস্থিত ছিলেন কীট তত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোঃ আসাদুজ্জামান, ছাত্র বিষয়ক উপ-উপদেষ্টা সহকারী অধ্যাপক ড. এবিএম সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে কবি বেগম সুফিয়া কামাল হলে সভাপতিত্ব করেন উক্ত হলেরব প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মোঃ মাসুদ সিকদার এবং ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে সভাপতিত্ত্ব করেন উক্ত হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মোঃ আসাদুল হক।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথি মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, পবিপ্রবি দক্ষিণাঞ্চলের শীর্ষ ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। এখান থেকে সুশিক্ষা গ্রহণ করে সুনাগরিক হয়ে দেশের নেতৃত্বভার গ্রহণ করতে হবে। তরুণ প্রজন্মের চোখে আমরা সমৃদ্ধশালী দেশ গঠনের স্বপ্ন দেখি।তিনি আরও বলেন, স্কুল-কলেজের সংকীর্ণ আবদ্ধ পরিসর, বাঁধাধরা নিয়মবিধির থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসর অতি উদার। তোমরা এখানে একজন পূর্ণ মানুষের স্বীকৃতিতেই আত্ননির্মাণ ও আত্নবিকাশে সক্ষম হতে পারবে। এই শিক্ষায়তেনের উন্মুক্ত অঙ্গনে তোমরা জীবন বিকাশে সক্ষম হবে, সফল হবে এটাই কামনা করি। এই প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা লাভ করে তোমরা এই দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
আলোচনা পর্ব শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।