ফেনী জেলার ছোট ফেনী, সিলোনিয়া ও কালীদাস পাহালিয়া নদীতে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে, এতে অন্তত ৪০টি স্থানে বিলীন হয়ে গেছে বসতি, কৃষি জমি ও সড়ক। নদী পাড়ের বাসিন্দারা ভাঙনের কবলে পড়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন।
সোনাগাজীর চর মজলিশপুর ইউনিয়নের আউরারখিল জেলে পল্লীর পলাশী রানী জানান, গতবার সর্বস্ব হারানোর পর এবারও তাদের সম্পত্তির অর্ধেক নদীতে চলে গেছে। একই দুর্দশায় আছেন ফেনীর নদীপাড়ের হাজারো মানুষ, যাদের বসতবাড়ি, রাস্তা এবং ফসলি জমি বিলীন হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, মুছাপুর রেগুলেটর পুনঃনির্মাণ না করা পর্যন্ত ভাঙন প্রতিরোধে রয়েছে অনিশ্চয়তা। তবে প্রাথমিকভাবে ৩০০ কোটি টাকার প্রকল্প প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদ শাহরিয়ার জানান, বরাদ্দ পাওয়া গেলে ভাঙন প্রতিরোধে কাজ শুরু হবে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অনিয়ন্ত্রিত বালু উত্তোলনের কারণেই নদীর ভাঙন তীব্রতর হচ্ছে। ভাঙন কবলিতরা দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন, না হলে বর্ষার আগে আরও হাজারো পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।