তরুণ থেকে বৃদ্ধ, মোটা থেকে পাতলা, কৃষ্ণাঙ্গ থেকে শ্বেতাঙ্গ -এই ৫০ জন পুরুষের মধ্যে কেউ দমকলকর্মী, কেউ গাড়িচালক, কেউ সেনা, কেউ নিরাপত্তারক্ষী, এমনকি একজন সাংবাদিক ও ডিজেও আছেন। তাদের বিরুদ্ধে ফ্রান্সে এক নারীর প্রতি বছরের পর বছর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
৭২ বছর বয়সী ডমিনিক পেলিকোত তার স্ত্রী জিজেল পেলিকোতকে ১০ বছর ধরে মাদক প্রয়োগে অচেতন করে অন্য পুরুষ দিয়ে ধর্ষণ করানোর অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। এই ঘটনা ঘটানোর জন্য তিনি অনলাইনে লোক খুঁজতেন।
জানা গেছে, গত এক দশকে ৯২ বার এভাবে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন জিজেল। অভিযুক্ত ৫০ জনের বিচার চলছে ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর অ্যাভিগনোতে। আগামী সপ্তাহে মামলার রায় ঘোষণা হতে পারে।
ডমিনিক তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ স্বীকার করেছেন এবং বলেছেন, অভিযুক্ত অন্য ৫০ জনও দোষী। ডমিনিক এসব ঘটনার ভিডিও তৈরি করেছিলেন, যা প্রমাণ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
তবে ফ্রান্সের ধর্ষণবিরোধী আইন অনুযায়ী, ধর্ষণের জন্য সহিংসতা, জবরদস্তি, হুমকি বা আকস্মিক ঘটনা প্রমাণ করতে হবে। অভিযুক্তদের আইনজীবীরা যুক্তি দিয়েছেন, জিজেল অনুমতি দেওয়ার অবস্থায় ছিলেন না। ফলে এটি ধর্ষণ হিসাবে গণ্য নয়।
মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন একজন ৬৩ বছর বয়সী ব্যক্তি, যিনি এইচআইভি সংক্রমিত ছিলেন এবং সুরক্ষা ছাড়াই জিজেলকে ধর্ষণ করেছেন। এ জন্য তার ১৮ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
অন্যদিকে, অভিযুক্ত একজন স্বেচ্ছাসেবী দমকলকর্মী দাবি করেছেন, তার শরীর কাজ করলেও মস্তিষ্ক এতে সায় দেয়নি।
মামলার এমন নানা তথ্য ফ্রান্সে আলোড়ন তুলেছে এবং এই ধরনের পৈশাচিক অপরাধে উপযুক্ত বিচার নিশ্চিত করার দাবি উঠেছে।