BMBF News

বড়পুকুরিয়ায় কয়লা উত্তোলন বন্ধ, তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিটে যান্ত্রিক ত্রুটি

দিনাজপুরের পার্বতীপুরে অবস্থিত দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১৪১৪ নম্বর ফেইজের উত্তোলনযোগ্য কয়লার মজুদ শেষ হওয়ায় সাময়িকভাবে কয়লা উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। শনিবার (৩০ নভেম্বর) পর্যন্ত এই ফেইজ থেকে মোট ৪ লাখ ৬৪ হাজার মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা হয়েছে।

খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম সরকার জানিয়েছেন, নতুন ১৩০৫ ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলনের প্রস্তুতিমূলক কারিগরি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। নতুন ফেইজ থেকে ৩ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন কয়লার মজুদ পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এই ফেইজ থেকে উত্তোলন শুরু হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ৭ আগস্ট থেকে ১৪১৪ নম্বর ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছিল, যা ৩০ নভেম্বর মজুদ শেষ হওয়ায় বন্ধ করা হয়েছে। নতুন ফেইজে যন্ত্রপাতি স্থাপন করতে আনুমানিক দুই মাস সময় লাগবে।

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির কয়লা দিয়ে পার্শ্ববর্তী ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়ে থাকে। বর্তমানে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লার ইয়ার্ডে প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন কয়লার মজুদ রয়েছে। এই মজুদ দিয়ে প্রায় ছয় মাস বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব।

তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক জানিয়েছেন, ২৭ নভেম্বর ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১ নম্বর ইউনিট যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে যায়। এই ইউনিটটি চালু থাকাকালে প্রতিদিন ৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করত এবং প্রতিদিন প্রায় ৭০০ মেট্রিক টন কয়লা প্রয়োজন হতো। আশা করা হচ্ছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ইউনিটটি পুনরায় চালু করা সম্ভব হবে।

বর্তমানে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩ নম্বর ইউনিট চালু রয়েছে। এটি থেকে প্রতিদিন ১৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ইউনিট চালু রাখতে প্রতিদিন ১ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন কয়লা প্রয়োজন হয়।

খনির কয়লা উত্তোলন বন্ধ থাকলেও পর্যাপ্ত মজুদের কারণে স্বাভাবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে কোনো সমস্যা হবে না বলে কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেছে।