সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পোর বেশিরভাগ এলাকা বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। শহরটি থেকে সরকারি বাহিনী পিছু হটেছে বলে নিশ্চিত করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর)। এই ঘটনায় ৩০০ জন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) সিরিয়া ও রাশিয়ার যৌথ বিমান হামলায় শহরটিতে অন্তত ২৩ বার আক্রমণ চালানো হয় বলে জানিয়েছে এসওএইচআর। সংঘর্ষে নিহতদের মধ্যে ২০ জন বেসামরিক এবং বাকিরা যোদ্ধা। রাশিয়া দাবি করেছে, তাদের বিমানবাহিনীর সহায়তায় সিরিয়ার সরকারি বাহিনী ৩০০ বিদ্রোহীকে হত্যা করেছে।
২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের নেতৃত্বাধীন সরকারি বাহিনী বিদ্রোহীদের আলেপ্পো থেকে উৎখাত করেছিল। তবে সাম্প্রতিক এই নিয়ন্ত্রণ বিদ্রোহীদের জন্য বড় ধরনের অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ইসলামপন্থী গ্রুপ হায়াত তাহরির আল-শামস (এইচটিএস)-এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চ্যানেলগুলোতে পোস্ট করা ভিডিওতে আলেপ্পোর ভেতরে বিদ্রোহী যোদ্ধাদের গাড়িতে টহল দিতে দেখা গেছে। এইচটিএস বর্তমানে ইদলিবের একটি বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। এছাড়াও তুর্কি সমর্থিত বিদ্রোহী এবং তুর্কি বাহিনীও সেখানে অবস্থান করছে।
২০১১ সালে গণতন্ত্রপন্থীদের বিক্ষোভ দমনে সরকারি বাহিনীর দমন-পীড়নের পর থেকেই সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। এ পর্যন্ত গৃহযুদ্ধে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। দেশটির বিভিন্ন অংশ বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর দখলে চলে গেলেও রাশিয়া ও মিত্রদের সহায়তায় সরকার পুনরায় অধিকাংশ এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়। ইদলিব এখনো বিদ্রোহীদের একটি শক্ত ঘাঁটি হিসেবে রয়ে গেছে। সাম্প্রতিক সংঘাত আলেপ্পো অঞ্চলে নতুন করে অস্থিরতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।