ভোজ্য তেলের আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট ৫ শতাংশ কমানোর পাশাপাশি উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ের ভ্যাট পুরোপুরি প্রত্যাহার করেছে সরকার।বৃহস্পতিবার পৃথক আদেশে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
এক আদেশে আমদানি পর্যায়ে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলের ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে করা হয়েছে ১০ শতাংশ। অপর আদেশে উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে পরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলের ভ্যাট পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আমদানি পর্যায়ে সবশেষ ভ্যাট কমানো হয়েছিল চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি। রোজাকে সামনে রেখে এনবিআর প্রজ্ঞাপন দিয়ে সয়াবিন ও পাম তেলের আমদানিতে ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করেছিল তখন।
এ সুবিধা ১৫ এপ্রিল শেষ হলে ভোজ্য তেল ব্যবসায়ীরা পরের দিনই কেজিতে ১০ টাকা করে দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সর্বশেষ গত ১৮ এপ্রিল সয়াবিন তেল ও পাম তেলের মূল্য সমন্বয় হয়েছিল।
বিশ্ববাজারে গত কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে সয়াবিন তেল ও পাম তেলের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের মূল্য ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ এবং আরবিডি পাম তেলের মূল্য ১৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
এ পরিস্থিতিতে স্থানীয় বাজারে ভোজ্য তেলের দর স্থিতিশীল রাখতে শুল্ক ছাড়ের দাবি জানিয়ে আসছিল বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন।