তরুণদের আগ্রহ এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে মতামত বিবেচনা করে ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর নির্ধারণের পরামর্শ দিয়েছেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত ‘ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে ভিডিও বার্তায় এ কথা বলেন তিনি।
ড. ইউনূস বলেন, “তরুণরা দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আগ্রহী এবং তাদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। তাদের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হলে ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর নির্ধারণ করা উচিত। তারা নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশ নিতে প্রস্তুত।”
নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের গুরুত্ব উল্লেখ করে তিনি বলেন, “কমিশনের সুপারিশ জনগণের মতের সঙ্গে মিললে তা মেনে নেওয়া উচিত। সংস্কার ও নির্বাচনের প্রস্তুতি একসঙ্গে চলবে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের প্রস্তুতির কাজ দেখবে, আর সংস্কারের কাজে সকলে অংশ নেবেন, বিশেষত তরুণরা।”
ড. ইউনূস জানান, সরকারের গঠিত ১৫টি সংস্কার কমিশন জানুয়ারিতে তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে। এসব প্রতিবেদন ভবিষ্যৎ রচনায় নাগরিকদের মতামত স্থির করতে সহায়ক হবে।
তিনি আরও বলেন, “কমিশনের সুপারিশ মানা বা না মানা নাগরিকদের উপর নির্ভর করে। তবে দ্রুত জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সংস্কারের কাজ শেষ করে নির্বাচনের পথে এগিয়ে যেতে হবে।”
এই বক্তব্যে ভোটার বয়স নির্ধারণ নিয়ে নতুন আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে, যা জাতীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিমণ্ডলে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।