দুমকী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর দুমকীতে ছোট ভাই ও মায়ের করা হয় রানিমূলক মামলার প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী বড় ছেলে উক্ত থানার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো: সেলিম সিকদার।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় দুমকী প্রেসক্লাবের সভাকক্ষে উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ঝাটরা গ্রামের বাসিন্দা মৃত: আঃ বারেক সিকদারের বড় ছেলে মোঃ সেলিম সিকদার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ১৯৯৮ সালে আমি বিদেশ গিয়ে মা—বাবা ও ভাই—বোনদের লেখা পড়াসহ সকল ভরণপোষণের দ্বায়িত্ব পালন করি। এমনকি ২০০৯ সালে বাবা মারা যাওয়ার পর পুরো পরিবারের হাল ধরি। কিন্তু জমি জমা ক্রয়—বিক্রয়, এনজিও থেকে ঋণ গ্রহণ ও পরিশোধ, ছোট ভাই সুমন সিকদারের মাদক মামলায় সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্নসহ বিভিন্ন কারনে ভাইদের সাথে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। সর্বশেষ, এ বছরের ২১ নভেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিআরডিবি’র কর্মকর্তারা মাদ্রাসা ব্রিজে আামার দোকানে এসে ছোট ভাই মো. সুমন সিকদার(৩৫) ও আশিকুর রহমান ওরফে রুমন সিকদারের(৩০) নেয়া ঋণের টাকা পরিশোধ করে না বলে আমাকে জানায়। ওই ঋণের জামিনদার হিসেবে আমাকে টাকা আদায় বা পরিশোধ করতে বলে। কিন্তু আমি ঋণ গ্রহিতা (সুমন ও রুমন)’র কাছ থেকে বিআরডিবি’র কর্মকর্তাদের টাকা আদায় করে নিতে বলি। এ কথা শুনে পাশে থাকা সুমন ও রুমন ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ওপরে হামলা করে আহত করে এবং পরে আমার ছেলে নূর আলম সিকদার (২৮) ও স্ত্রী নাসিমা বেগম(৪৮) কেও অতর্কিত হামলা চালিয়ে আহত করে। এ বিষয়ে আমি দুমকী থানায় একটি মামলা দায়ের করি। মূলত এ মামলা আড়াল করতে আমার মা মোসা. সমের্তবানকে (৭১) কুপরামর্শ দিয়ে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে সমাজে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আমার বিরুদ্ধে মা’কে মারধরসহ নানা অভিযোগে আদালতে ২ টি মামলা দায়ের করেছে ছোট ভাই রুমন ও আমার মা সমের্তবান।
সেলিম সিকদারের মা সমের্তবান সাংবাদিকদের বলেন, আমি আর বলতে চাই না। ছেলে সেলিম সিকদার আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এবিষয়ে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ বশির উদ্দিন খান জানান, মা’কে মারধরের খবর আমি শুনিনি। তবে এর আগে তাদের মধ্যে ভাই ভাই’র পারিবারিক ঝামেলা নিয়ে একাধিক বার সালিশ বৈঠক হয়েছে।
এসময় দুমকী প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।