নব্বই দশকের জনপ্রিয় গায়ক মনি কিশোরের লাশ রাজধানীর রামপুরার নিজ বাসা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ‘কী ছিলে আমার বলো না তুমি’ এর মতো জনপ্রিয় গানের এই শিল্পী দীর্ঘদিন ধরে রামপুরা বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবনের পেছনের একটি বাসায় একাকী বসবাস করতেন।
রবিবার রাত ১০টার দিকে তার লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামপুরা থানার ওসি আতাউর রহমান আকন্দ। তিনি জানান, “স্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘদিন আগেই বিচ্ছেদ হয়েছিল। এরপর থেকেই তিনি একাই বাসায় থাকতেন। তার একমাত্র মেয়ে বর্তমানে আমেরিকা প্রবাসী।”
বাড়িওয়ালার কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে জানিয়ে ওসি বলেন, “বাড়িওয়ালা ভাড়ার জন্য দরজায় নক করেন, কিন্তু অনেকক্ষণ ধরে কোনো সাড়া না পাওয়ায় এবং সন্দেহজনক গন্ধ টের পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে বিছানায় তার নিথর দেহ দেখতে পায়। ধারণা করা হচ্ছে, ৪-৫ দিন আগেই তিনি মারা গেছেন।”
তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া না যাওয়ায় পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, মনি কিশোর অসুস্থতার কারণে মৃত্যুবরণ করতে পারেন। বাসায় সিটি স্ক্যান ও এমআরআই রিপোর্টসহ কিছু মেডিকেল রিপোর্টও পাওয়া গেছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ধারণে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মনি কিশোরের প্রকৃত নাম ছিল মনি মণ্ডল, তবে কিশোর কুমারের ভক্ত হওয়ায় তিনি নামের সঙ্গে ‘কিশোর’ যুক্ত করেছিলেন। গানের জগতে আসার আগে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, এবং গানে অনিয়মিত হলেও কাপড়ের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
মনি কিশোরের জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে- ‘কী ছিলে আমার’, ‘সেই দুটি চোখ কোথায় তোমার’, ‘তুমি শুধু আমারই জন্য’, ‘মুখে বলো ভালোবাস’, এবং ‘আমি মরে গেলে জানি তুমি’। এই শিল্পী প্রায় পাঁচ শতাধিক গানে কণ্ঠ দিয়েছেন এবং তার সুর করা ও লেখা প্রায় ২০টি গান রয়েছে।