রাজধানীর মিরপুর-১৩ নম্বরে বিআরটিএ কার্যালয়ের সামনে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকরা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। সকাল থেকেই চলা এই আন্দোলনের কারণে মিরপুর-১০ থেকে মিরপুর-১৪ নম্বর সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে, দুর্ভোগে পড়েছেন অফিসগামী মানুষ ও সাধারণ যাত্রীরা।
রবিবার সকাল ৯টা থেকে শত শত সিএনজি চালক বিআরটিএ কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। তারা ট্রাফিক পুলিশের মামলা-হয়রানি বন্ধ, অন্য জেলার সিএনজি অটোরিকশার ঢাকায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করা এবং ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা মূল সড়ক থেকে সরানোর দাবি জানাচ্ছেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সিএনজি চালকরা মিরপুর-১৪ নম্বরে জড়ো হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের সঙ্গে কথা বললে তারা রাস্তা ছেড়ে দেন। পরে তারা মিছিল নিয়ে মিরপুর-১৩ নম্বর বিআরটিএ কার্যালয়ের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
সিএনজি চালকদের দাবি, ট্রাফিক পুলিশের মামলা ও হয়রানির কারণে তাদের আয় কমে গেছে। প্রতিদিন মালিককে ১,৪০০ টাকা জমা দিতে হয়, গ্যাস রিফিল করতে লাগে ৬০০ টাকা। এত খরচের পর সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এক চালক অভিযোগ করে বলেন, “যাত্রী ওঠা-নামা করলেই মামলা দেওয়া হয়। আমরা কি গাড়ি চালানো বন্ধ করে দেব? এত খরচের পর বাড়িতে যা নিয়ে যাই, তাতে সংসার চলে না।”
আরেক চালক বলেন, “মিটারে না গেলে আমাদের ৬ মাসের জেল, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। কিন্তু আমাদের দৈনিক খরচ এত বেশি যে মিটারে চালালে টিকে থাকাই কঠিন। আমরা চাই, ঢাকা মেট্রো ছাড়া অন্য জেলার সিএনজি ঢাকায় না চলুক, ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলো মূল সড়ক থেকে সরানো হোক।”
সকাল থেকে চলমান এই আন্দোলনের ফলে মিরপুরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যান চলাচল প্রায় থেমে গেছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন কর্মজীবী ও সাধারণ মানুষ।