এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতের পর ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল। বুধবার ভোর থেকে এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। এতে স্বস্তি ফিরে এসেছে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের মধ্যে, এবং তারা নিজেদের ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন।
বুধবার ভোর ৪টায় কার্যকর হওয়া এই যুদ্ধবিরতির ফলে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সতর্কতা সত্ত্বেও, দক্ষিণ লেবাননের হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন। লেবাননের স্পিকার নাবিহ বেরি এক টেলিভিশন বক্তৃতায় তাদের ঘরে ফেরার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ধ্বংসস্তূপের ওপর বসবাস করতে হলেও নিজেদের ভূমিতে ফিরে আসুন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মঙ্গলবার মধ্যরাতে এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। যুদ্ধবিরতি চুক্তির মূল শর্তগুলো হলো: ইসরায়েল: ৬০ দিনের মধ্যে লেবানন থেকে সব সেনা প্রত্যাহার করবে। হিজবুল্লাহ: সীমান্ত এলাকা থেকে সরে লিটানি নদীর অপরপ্রান্তে অবস্থান নেবে। কোনো নতুন অবকাঠামো নির্মাণ বা অস্ত্র সংগ্রহ করতে পারবে না।
নেতানিয়াহু দাবি করেন, ইসরায়েলি বাহিনীর আক্রমণে হিজবুল্লাহ কয়েক দশক পিছিয়ে পড়েছে এবং তেলআবিব তাদের লক্ষ্য পূরণ করেছে।
নেতানিয়াহু বলেন, “যদি হিজবুল্লাহ চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে, তাহলে ইসরায়েল তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে।”
যুদ্ধবিরতির ফলে স্বস্তি পেলেও, ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যে ঘরে ফেরার এই প্রক্রিয়া লেবাননের বাসিন্দাদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ বয়ে আনছে। তবু, দীর্ঘ সংঘাত শেষে শান্তি প্রতিষ্ঠার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন তারা। বর্তমান পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকলে দুই পক্ষের মধ্যে আরও দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রতিষ্ঠার আশা করছেন বিশ্লেষকরা।