BMBF News

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ

আজ ১৪ ডিসেম্বর, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। জাতি আজ গভীর শ্রদ্ধা ও যথাযোগ্য মর্যাদায় স্মরণ করবে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের, যাঁরা ১৯৭১ সালের এই দিনে নির্মমভাবে প্রাণ হারিয়েছিলেন।

পরাজয় নিশ্চিত জেনে, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা বাংলাদেশের বরেণ্য বুদ্ধিজীবীদের ঠান্ডা মাথায় হত্যা করে। এর উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে পঙ্গু করে দেওয়া। মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের দুদিন আগে ঘটে এই নির্মম হত্যাকাণ্ড।

মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের পর রাজধানীর রায়েরবাজার ইটখোলা ও মিরপুর বধ্যভূমিসহ বিভিন্ন স্থানে বুদ্ধিজীবীদের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ পাওয়া যায়। অনেকে রয়ে যান নিখোঁজ।

রাষ্ট্রীয়ভাবে দিবসটি স্মরণ করতে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচি। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, সকাল ৭টা ৫ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং ৭টা ৬ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

এদিন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের পবিত্রতা রক্ষায় স্মৃতিসৌধ এলাকায় মাইক বা লাউডস্পিকার ব্যবহার না করার জন্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সর্বসাধারণের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে।

বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যবৃন্দ, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হবে। সকাল ৮টা ৩০ মিনিট থেকে সর্বস্তরের জনগণ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা বাণী প্রদান করেছেন। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনসহ বিভিন্ন চ্যানেল বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে।

এছাড়া মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ বিভিন্ন উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হবে।

বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। বিএনপি জাতীয় ও দলীয় কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার পাশাপাশি শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রায়েরবাজারে শহীদদের গণকবর জিয়ারত কর্মসূচি পালন করবে। জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং বিভিন্ন ছাত্র, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনও দিবসটি স্মরণে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের মূল বার্তাটি হলো, তাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতার মূল্য ও দায়িত্বকে গভীরভাবে স্মরণ করে জাতি যেন ঐক্যবদ্ধ থাকে।