শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো শেডে আগুন: ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহায়তায় বিশেষ তহবিল গঠনের আহ্বান – শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতা আতিকুর রহমানের মন্তব্য
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো শেডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বিপুল পরিমাণ রপ্তানি ও আমদানি পণ্য পুড়ে গেছে। এতে দেশের বিভিন্ন শিল্পখাত—পোশাক, ওষুধ, ইলেকট্রনিক্স, কৃষিজ, চামড়া, প্লাস্টিক ও অন্যান্য রপ্তানি নির্ভর খাতসহ আমদানি নির্ভর ব্যবসাগুলো মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে।
ঘটনার পর ব্যবসায়ী মহল বলছে, এটি কেবল কিছু নির্দিষ্ট খাতের ক্ষতি নয়, বরং পুরো আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যই এখন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।
“এই অগ্নিকাণ্ডে দেশের সামগ্রিক বাণিজ্য ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে” — আতিকুর রহমান
শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা আতিকুর রহমান বলেন, “এই আগুনে ক্ষতিগ্রস্তরা শুধু পোশাক বা ওষুধ শিল্পের নয়, বরং দেশের সামগ্রিক বাণিজ্য কাঠামোর সঙ্গে জড়িত প্রায় সব খাতই এতে প্রভাবিত হয়েছে। সরকার যদি দ্রুত সহায়তা না দেয়, তাহলে রপ্তানি, আমদানি এবং শিল্প খাত একযোগে সংকটে পড়বে।”
তিনি আরও বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি করে ক্ষতিপূরণ বিতরণে সহযোগিতা করতে পারে। পাশাপাশি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে তারা কর মওকুফ ও শুল্ক ছাড়ের ব্যবস্থা নেয়।
সমস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ ও প্রণোদনার দাবি
আতিকুর রহমান জানান, এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন যৌথভাবে সরকারের কাছে প্রস্তাব করবে—ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ, বিশেষ প্রণোদনা ও দ্রুত আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পুনরায় চালুর ব্যবস্থা করতে।
তিনি বলেন, “শুধু কোনো একটি খাত নয়, বরং দেশের সমস্ত শিল্পই এখন ক্ষতির ঝুঁকিতে। ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানো এখন সরকারের দায়িত্ব।”
ব্যবসায়ী মহলের মতে, দ্রুত পদক্ষেপ নিলে এই বিপর্যয়ের প্রভাব অনেকটা কমানো সম্ভব হবে এবং সামগ্রিক বাণিজ্য ও অর্থনীতি দ্রুত ঘুরে দাঁড়াবে।