BMBF News

সন্ত্রাসীদের হামলা থেকে বাঁচা এবং সহায় সম্পত্তি ফিরে পেতে মুফতি আব্দুর রহমানের সংবাদ সম্মেলন

১৮
নিজস্ব প্রতিবেদক :

 

একাধিকবার সন্ত্রাসীদের প্রাণনাশের চেষ্টা থেকে বাঁচার রক্ষার্থে ও সহায় সম্পত্তি ফিরে পেতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করে ২৯ শে অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খান হলে এক সংবাদ সম্মেলন করেন নড়াইল পৌরসভার বাসিন্দা মুফতি আব্দুর রহমান।

 

সংবাদ সম্মেলনে মুফতি আব্দুর রহমান বলেন,

আমার সাবেক স্ত্রী রিক্তা এবং তার অন্যতম সহযোগী ইয়াছিন ও তার অন্যান্য সহযোগী সন্ত্রাসীরা দীর্ঘদিন থেকে নানা কায়দায় ষড়যন্ত্র করে আমার জমিজমা গ্রাস করার জন্য চেষ্টা করে আসছে। সেই অপচেটায় ব্যার্থ হয়ে অবশেষে তাদেরই দলের এক মেয়েকে আমার সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করে এবং অবশেষে সফলও হয়। আর আমার সাবেক স্ত্রীর উদ্দেশ্য ছিল যে, সে বিবাহের পরে আমাকে মেরে ফেলবে এবং আমার সকল স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পত্তির মালিক হবে এবং তা থেকে সন্ত্রাসীদেরও ভাগ দেবে। এই উদ্দেশ্য সে আমাকে মারার জন্য সদাসর্বদা চেষ্টা অব্যাহত রাখে। এই পর্যন্ত আমাকে সে বহুবার সন্ত্রাসীদের দিয়ে ধরিয়েছে মেরে ফেলার জন্য। তাতে সে প্রতিবার ব্যর্থ হয়েছে। তার চরিত্র এতটাই জঘন্য যে, পৃথিবীর সব চাইতে নিকৃষ্ট বললেও তা কম হয়ে যাবে। সে আমার ঘরের টাকা লুট করে সন্ত্রাসীদের নিয়ে এক সাথে মাদক সেবন করে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়। সদা সর্বদাই সে আমাকে ভয় ভীতি প্রদশন করে এবং অত্যাচার করে। আমি মসজিদে ইমামতি করতাম ও মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতাম। মসজিদে যখন আমি যেতাম তখন সে তার বাহিনীকে ফোন করে নিয়ে আসতো। এইভাবে আমাকে মারার জন্য চেষ্টা চালাতে থাকে। কিন্তু তাহাতে সে ব্যর্থ হইয়া সন্ত্রাসীদের সাথে যোগ সাজসে ভিন্ন পথ অবলম্বন করে। সে অপরিচিত এক মহিলাকে টাকার বিনিময়ে ভাড়া করে ও তাকে আমার মেয়ে সাজিয়ে জন্মনিবন্ধন করায় এবং তাকে দিয়ে আমাকে ধর্ষন মামলা দেয়। অথচ সেও আমাকে চেনে না, আমিও তাকে চিনি না। এই মেয়েকে দিয়ে ঢাকায়ও একটা অপহরণ মামলা করায়। সেই মামলার ঠিকানা অনুযায়ী আমি জানতে পারি যে তার বাড়ি ডগাইর বোর্ড মিল এলাকায়। একই মেয়ে দুই জায়গায় দুই রকম মামলা করেছে। নড়াইলের মামলায় সে আমাকে জেলে ঢুকিয়ে দিয়ে আমার ঘরের সমস্ত মালামাল, নগদ টাকা পয়সা ও স্বর্ণ-গহনা সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে সব কিছু লুট করে নিয়ে যায় এবং জানা যায় আমার সাবেক স্ত্রী এই পর্যন্ত চারটা বিয়েও করেছে। আর আমার সমস্ত দলিল পর্চা সন্ত্রাসীদের কাছে দিয়ে দেয় এবং আমি জেলে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন ভাবে আমার জমি জাল দলিল করে নেওয়ার জন্য অপচেষ্টা চালায়। তাহাতে ব্যর্থ হইয়া পৌরসভার মেয়রকে দিয়ে আমার মৃত্যুর সার্টিফিকেট বানায় এবং আমার অচেনা লোকদের ও স্বাক্ষী সাজায়। আমি জেলে থাকা অবস্থায় কিছু জমি জাল দলিল করে নেয় এবং আমি যাতে জেল থেকে বের হতে না পারি সে জন্য এরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালায়। অবশেষে যখন কোর্টের সকলেই জানতে পারে যে মামলাটি মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন ষড়যন্ত্রমূলক মামলা। তখন জজ সাহেব আমাকে জামিন দেয়। আমি গত ১৬/৪/২০২৪ তারিখে জেল থেকে বের হইয়া রাস্তায় আসা মাত্র আমাকে মাইক্রোবাসে উঠিয়ে চোখবেধে অজ্ঞাত স্থানে এক বিল্ডিংয়ের কোঠারিতে নিয়ে আটকে রাখে এবং বেদম মারধর করে। আমাকে বলে যে তোকে আমরা জামিন করিয়েছি তোকে জামিন দেয় না এই জন্য ঢাকার তিনটি জজকে ট্রান্সফার কারছি। তাহাতে ৮০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। তারপর জজকে ঘুষ দিয়েছি ২০ লক্ষ টাকা। অথচ এরা আমার জামিনে বিরোধিতা করেছে চরম ভাবে। অথচ আমি জেলখানায় থেকে কোনো উকিল নিয়োগ করলে এরা তাকে কোর্টে দাড়াতে দেয়নি। এভাবেই আমি দশ জন উকিল ধরেছি, অথচ এরা সেই দশ জনকে ব্যর্থ করে দিয়েছে কোর্টে দাঁড়াতে দেয়নি। এই সময় আমাকে আটকে রেখে অনেকগুলো স্ট্যাম্পে সই নিয়েছে। ১৭/০৪/২০২৪ তারিখে রাত আনুমানিক ২ ঘটিকার সময়ে আমার মৃত্যুর সার্টিফিকেট বানিয়ে নিয়ে আসে। উদ্দেশ্য আমাকে মেরে আমার লাশ গুম করে ফেলবে এটা বুঝতে পেরে আমি আল্লাহকে ডাকতে থাকি। এই সময় হঠাৎ আমার মাথায় একটা বুদ্ধি এল। তারপর আমি খুব কাকুতি মিনতি করে বলতে লাগলাম যে ঢাকায় আমার একটি বাড়ি আছে, বাড়িতে কেয়ারটেকার গাছে। তাহার কাছে আমি ২ কোটি টাকার মতো জমা রেখেছি। সেই টাকা নিয়ে আসি। এই কথা শুনে সন্ত্রাসিদের কেউ কেউ বলে দরকার নাই। তারপর ওরা গোপনে পরামর্শ করে যে টাকা নিয়ে আসুক। ওকে মেরে ফেলার পরে অনেক টাকা লাগবে এত গুলো টাকা হাত ছাড়া করবো কেন? আর ওকে মারার পর তো অনেক জাযগায় টাকা দিতে হবে যাতে আমাদের বিরুদ্ধে কেস না হয়। তারপর কালো গ্লাসের একটি মাইক্রোবাস নিয়ে আসে। তারপর আমার চোখ ও হাত বাধা অবস্থায় আমাকে মাইক্রোবাসে উঠায়। আমাকে ঢাকা মিরপুর দশ নম্বরে গোলচত্তরের কাছে নিয়ে আসে। এবং আমাকে বলে যে তোর ঢাকার বাড়ি কেথায়? তখন ওদের কাছে অস্ত্র, ছোনা, ডেগার এগুলো ছিল। তখন আমি ওদেরকে বলি যে আমাকে এই অবস্থায় আমার কেয়ারটেকারের কাছে নিয়ে গেলে সে আপনাদেরকে পুলিশে ধরিয়ে দেবে। তখন তারা আমার চোখ ও হাতের বাধন খুলে দেয় এবং মাইক্রো থেকে রোডের পশ্চিম পাড়ে নামায় এবং ওরা দশ জন আমার চতুর্পাশে ঘিরে রাখে। যখন ঢাকায় আমাকে নিয়ে এসেছে তা দেখে আমার মনে একটু সাহস হয়। তখন আমি ওদের বলি যে আমাকে এভাবে ঘিরে রাখছেন কেন? আমার সব জমি জমা ও ঘর বাড়ি তো আপনাদের দখলে এবং আপনারা ভোগ করতেছেন, এখন আমার ঢাকার বাড়ি আপনাদের চিনাবো না, আপনারা এখানে দাঁড়ান আমি টাকা নিয়ে আসি। এই বলেই আমি দৌড়ে রোড পার হয়ে পূর্ব পাশে ‘শাহালি প্লাজায় প্রবেশ করে এ গলি থেকে ও গলি দিয়ে পূর্ব দিক দেয়ে বেরিয়ে যাই। ওরা আমার পিছু ধাওয়া করে আমাকে হারিয়ে ফেলে। এরপর আমি ওখান থেকে মিরপুর ১ নম্বর চলে যাই এবং ঐ রাতে আমি মিরপুর ১ নম্বরে ‘হোটেল বাগদাদে’ অবস্থান করি তারিখ ছিল ১৭/০৪/২০২৪। এরপর সকালে অন্যত্র চলে যাই। এবং ওদের ভয়ে সদা সর্বদা প্রাণ ভয়ে ভীত থাকি। ওদের ভয়ে আমি আর নড়াইল কোর্টে হাজিরা দিতে যেতে পারি নাই। ০৩/০৭/২০২৪ তারিখে আমার নড়াইলের মামলার হাজিরার তারিখ ছিল। আমি ওদের ভয়ে নড়াইল কোর্টে হাজিরা দিতে যেতে পারিনি। ইতিমধ্যে ওরা আমার মামলায় তদবির করে ওয়ারেন্ট করিয়ে দিয়েছে। গত ১৭/১০/২০২৪ তারিখে আমি জামিন নেওয়ার জন্য আমার উকিলের সঙ্গে কোর্টে হাজির হই এবং জজ সাহেব আমার জামিন দিয়ে দেয়। আমি কোর্টে যাওয়ার পরে এই সংবাদ পেয়ে সন্ত্রাসীরা সংঘবদ্ধ হয়ে আমাকে অপহরণ করার জন্য কোর্টে চলে আসে। এই অবস্থা দেখে পি. পি ‘নুর মোহাম্মদ সাহেব’ আমাকে সেভ করার জন্য পুলিশকে ফোন দেয়। এরপর আমার নিয়োগকৃত উকিল এসে আমাকে জজ কোর্ট থেকে বাহির করে নিয়ে আসে এবং সন্ত্রাসীদের হাতে পুনরায় আমাকে ধরিয়ে দেয়। তারা আমাকে অপরহন করে নিয়ে যায় এবং নিয়ে এক বিল্ডিংয়ের কুঠুরিতে আটকিয়ে আমাকে বেদম মারধর করে এবং আমাকে ভয়ভীতি দেখায় যে, তোর আর রক্ষা নাই। আজ তোর শেষ দিন। মারতে মারতে আমার জামা কাপড় ছিড়ে ফ্যাতা ফ্যাতা করে ফেলে। পরে সন্ধ্যার দিকে ৫২ টি ব্ল‍্যাংক স্টাম্পে সই করিয়ে নেয় এবং রেজিষ্ট্রি অফিসের দুটি খাতার চারটি ঘরে সই করিয়ে নেয়। সেটা সকলের মোবাইলে আবার ভিডিও রেকর্ডিং করিয়ে নেয় এবং রাতে গ্রামের দিকে অনেক দূরে এক বিল্ডিংয়ে আটকিয়ে রাখে এবং মারধর চলতে থাকে ও মেরে ফেলার হুমকি দিতে থাকে। তারপর ঐ রাতে সন্ত্রাসীরা আমাকে আমিনুর নামের এক ব্যাক্তির বিল্ডিংয়ে নিয়ে আসে এবং অস্ত্রের মুখে আমাকে জিম্মি করে রাত অনুমান ১:৩০ দিকে ৮টা দলিলে সই করে নেয়। তারপর রবিবার সকাল ১১ টার দিকে সাব রেজিস্ট্রারের সহকারীকে বাড়ি নিয়ে এসে দলিলগুলো রেজিস্ট্রি করিয়ে নেয়।

এরপর ভয়াবহ মর্মন্তিক ঘটনা শুনুন। আমাকে একটা মৎস্য ঘেরের কাছে নিয়ে উপুড় করে কল্লা কর্তনের জন্য রামদা দিয়ে কোপ দেওয়ার জন্য উদ্ধত হইলে আমি তৎক্ষনাত চিৎকার দিয়ে পানিতে ঝাপিয়ে পড়ে ডুব দিয়ে লুকিয়ে থেকে প্রাণ বাঁচই।

 

হত্যা চেষ্টার সাথে জড়িতদের নাম ও ঠিকানা:

০১। রিক্তা, পিতা: কালাম সরদার, সাং: কামকুল, থানা: অভয়নগর, জেলা: যশোর।

২। ইয়াসিন আলম

৩। আলামিন পিং: গোলাম রহমান শিকদার
রিতা, পিতা: কামাম সাং: কামকুল, থানা: অভয়নগর জেলা :যশোর

২|ইয়াসিন আলম
৪।কাদের পিং: মৃত আব্দুল মজিদ

৫। শান্তা স্বামী: ইয়াছিন আলম

৬। তুবা

৭। ছাদিয়া পিং: ইয়াসিন আলম সর্ব সাং: সীমাখালী, থানা ও জেলা: নড়াইল।

৮। মুসতাইন

৯। তরিকুল

১১। নয়ন আরও অনেকে সর্ব সাং: দুর্গাপুর, ডুমুরতলা ১২।জিল্লু পিং:খোকা শেখ

১০। আমিনুর জিল্লু পিং: খোকা শেখ ১৩। জেসমিন স্বামী: জামিনুর

১৪। জিহাদ পিং: জামিনুর ১৫। সাজ্জাদ পিং: জামিনুর

১৬। নাসির উদ্দিন (নয়ন) পিং: জামিনুর ১৭। নাজমুল পিং: জামিনুর

১৮। তৌহিদ পিং: কুটি মনা শেখ

১৯। শাহিদুল পিং: কুটি মনা শেখ সর্ব সাং: বরাশুলা
শেখ পাড়া, থানা , জেলা: নারায়নগঞ্জ।
ও জেলা: নড়াইল।

২০। আলামিন শরিফ পিতা: আক্কাস শরিফ সাং: কাঁচপুর (বস্তি) থানা: সোনারগাও