দেশের বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল রাখতে সরকারি উদ্যোগে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি অব্যাহত রয়েছে। বিপুল পরিমাণ চাল আসায় স্থানীয় বাজারে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা পর্যন্ত কমেছে, যা ক্রেতাদের জন্য স্বস্তিদায়ক।
বৃহস্পতিবার হিলি স্থলবন্দর ঘুরে দেখা যায়, ভারত থেকে আসা চালবোঝাই ট্রাকের দীর্ঘ সারি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পাইকারি ক্রেতারা চালের মান যাচাই করে কিনছেন। বর্তমানে স্বর্ণা-৫, সম্পা কাটারি, রত্না এবং ৪০/৯৪ (চিকন জাত)-সহ বিভিন্ন জাতের চাল আমদানি হচ্ছে।
বাজারের বর্তমান দর:
- স্বর্ণা-৫: প্রতি কেজি ৪৯-৫০ টাকা
- সম্পা কাটারি: প্রতি কেজি ৬৫-৬৭ টাকা
- ৪০/৯৪ (চিকন জাত): প্রতি কেজি ৫৮-৬০ টাকা
হিলি কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত ২,০২৪টি ট্রাকে মোট ১ লাখ ৪ হাজার ৮৫৯ টন চাল আমদানি হয়েছে। আমদানিকারকরা প্রতি টন চাল ৫০০ থেকে ৫২০ মার্কিন ডলারে কিনছেন এবং মাত্র ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর পরিশোধ করে শুল্কমুক্ত সুবিধায় তা খালাস করছেন।
বন্দরের চাল ব্যবসায়ী নাজমুল হোসেন বলেন, “চাল আমদানি চলমান থাকায় দাম অনেকটাই কমেছে। তবে চাহিদার তুলনায় আমদানি বেশি হওয়ায় বন্দরে অনেক চাল অবিক্রিত অবস্থায় রয়েছে। আশা করছি, চাহিদা বাড়লে বিক্রিও বাড়বে।”
আরেক ব্যবসায়ী পুলক জানান, “বাজার স্থিতিশীল থাকলে আমাদের ব্যবসা করতে সুবিধা হয়। চালের বর্তমান দামে আমরা লাভবান হচ্ছি এবং ক্রেতারাও সাশ্রয়ী মূল্যে চাল কিনতে পারছেন।”
এ বিষয়ে হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন বলেন, “ভারত থেকে চাল আমদানি অব্যাহত রয়েছে। দেশের বাজারে চালের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে আমদানিকারকদের সব ধরনের শুল্কায়ন প্রক্রিয়ায় আমরা দ্রুত সহযোগিতা করে যাচ্ছি।”