BMBF News

২০২৫ সালকে স্বাগত জানালো বিশ্ব

নতুন বছর ২০২৫ সালকে স্বাগত জানিয়েছে বিশ্ব। বিশ্বে সবার আগে নতুন বছরে পা রেখেছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দ্বীপদেশ কিরিবাতি। এর পরপরই নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে আতশবাজির মধ্য দিয়ে বরণ করা হয় নতুন বছর।

অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে রাত ১২টা বাজতেই ঝলমলে আতশবাজির মাধ্যমে ২০২৫ সালকে স্বাগত জানানো হয়। একই সময়ে দেশটির নর্দার্ন টেরিটোরিও নতুন বছরে প্রবেশ করে।

এরপর নতুন বছরে পা দেয় জাপান। রাজধানী টোকিওর তোদাই-জি মন্দিরে ঐতিহ্যবাহী ঘন্টাধ্বনির মাধ্যমে দেশটি নতুন বছরকে বরণ করে।

জাপানের পর দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত ও শ্রীলঙ্কা একে একে ২০২৫ সালে প্রবেশ করে। এরপর যুক্তরাজ্যসহ আরও ২৫টি দেশ স্বাগত জানায় নতুন বছরকে।

চীনে নতুন বছর উদযাপনে ছিল বিশেষ প্রস্তুতি। শ্যানডং প্রদেশে একদল নারী শুভকামনা সম্বলিত ব্যানার নিয়ে ২০২৫ সালকে বরণ করে। কংজিয়াং কাউন্টিতে গ্রামের বাসিন্দারা বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে উদযাপন করে নতুন বছর। বেইজিংয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং নতুন বছরের আগমনে ভাষণ দেন।

তবে যুক্তরাজ্যে বৈরী আবহাওয়ার কারণে কিছু বর্ষবরণ অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়। দক্ষিণ কোরিয়াও বছরের শেষ দিকে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার কারণে নিরব পরিবেশে নতুন বছর বরণ করে।

বিশ্বের অন্যান্য দেশ তাদের ঐতিহ্য ও প্রথা অনুযায়ী ২০২৫ সালকে স্বাগত জানায়। কিছু দেশ এসব প্রথার কারণে বেশ ব্যতিক্রমী উদযাপনের জন্য পরিচিত।

স্পেনে নতুন বছরের কাউন্টডাউনের প্রতিটি মুহূর্তে একটি করে আঙুর খাওয়ার রীতি রয়েছে। ১৯০৯ সাল থেকে এভাবেই সেখানে নতুন বছর উদযাপন করা হয়।

ডেনমার্কে থালা ছুড়ে ভাঙার মাধ্যমে নতুন বছরকে বরণ করা হয়। তাদের বিশ্বাস, যত বেশি থালা ভাঙা যাবে, নতুন বছরে তত বেশি সৌভাগ্য আসবে।

ল্যাটিন আমেরিকায় রঙিন অন্তর্বাস পরে নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হয়। অন্তর্বাসের রঙ অনুযায়ী নতুন বছর একেক রকম সৌভাগ্য বয়ে আনে বলে তাদের বিশ্বাস।

ফিলিপিন্সে বৃত্তাকার জিনিস ও পোলকা ডটের পোশাক পরার রীতি প্রচলিত। এটি ধনসম্পদের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন উদযাপন শেষে নতুন বছরে প্রবেশ করবে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। সর্বশেষ ২০২৫ সালকে বরণ করবে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চল।