BMBF News

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় রবিবার

আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের ওপর রবিবার (১ ডিসেম্বর) রায় ঘোষণা করবে হাইকোর্ট। শনিবার (৩০ নভেম্বর) আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা করবেন।

এর আগে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বিচারিক আদালত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেন। একইসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১১ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন।

বিচারিক আদালতের রায়- মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি: লুৎফুজ্জামান বাবর, আবদুস সালাম পিন্টু, মাওলানা তাজউদ্দিন, মাওলানা শেখ আবদুস সালাম (কারাগারে মারা যান), কাশ্মীরি জঙ্গি আবদুল মাজেদ ভাটসহ ১৯ জন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি: তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরী, কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদসহ ১৯ জন। অন্যান্য কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি: পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক মো. আশরাফুল হুদাসহ কয়েকজন।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। হামলায় মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত এবং শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান।

২০০৮ সালে দেওয়া অভিযোগপত্রে ২২ জনকে আসামি করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর আদালতের নির্দেশে পুনরায় তদন্তে আরও ৩০ জনকে যুক্ত করে মোট আসামির সংখ্যা ৫২ জন করা হয়।

২০১৮ সালে মামলার রায় ঘোষণার পর আসামিরা আপিল করেন এবং প্রয়োজনীয় নথিসহ মামলাটি হাইকোর্টে আসে।

২০২২ সালের ডিসেম্বরে বিচারপতি সহিদুল করিমের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়। পরবর্তীতে বেঞ্চ পুনর্গঠন হয়ে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের বেঞ্চে নতুন করে শুনানি হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার এবং আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও শিশির মনির। গত ২১ নভেম্বর হাইকোর্ট মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন। রবিবার (১ ডিসেম্বর) এ রায় ঘোষণা করা হবে।