নিজস্ব প্রতিবেদক :
তথ্যআপাঃ প্রকল্প (২য় পর্যায়) এর কর্মকত জনবল রাজস্ব খাতে স্থানান্তর সহ ৪ দফার দাবিতে তো ২৮ শে মে থেকে লাগাতার অনশন কর্মসূচি পালন করছেন তথ্য আপা প্রকল্পের ২য় পর্যায়ের প্রতিনিধিরা।
বাংলাদেশের প্রান্তিক নারীদের জীবন ঘনিষ্ঠ একটি প্রকল্প হল তথ্য আপা: প্রকল্প (২য় পর্যায়)। যারা নারীর ক্ষমতায়নের জন্য ৪৯২টি উপজেলায় দীর্ঘ সাত বছর ধরে কাজ করে আসছে তাদের ভবিষ্যৎ আজ অনিশ্চিত। চলমান প্রকল্পের বর্ধিত মেয়াদ আগামী ৩০ জুন, ২০২৫ খ্রি. শেষ হয়ে যাবে। আমরা এই প্রকল্পে কর্মরত দুই হাজারের অধিক জনবল কর্মহীন হয়ে যাবো। আক্ষরিক অর্থে সমাজের বোঝা হয়ে যাবো। কিন্তু আমাদের নিয়ে প্রধান কার্যালয় এবং মন্ত্রণালয়ের কোন ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নেই। জনবল বহাল রেখে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তা না করে কর্মরত অভিজ্ঞ জনবলকে বাদ দিয়ে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে প্রকল্পটি নতুন ভাবে নতুন পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য পূনরায় ডিপিপি প্রণয়ন করে একনেকে ফাইল উত্থাপনের প্রক্রিয়া জারি রেখেছেন। এমতাবস্থায় আমরা গত ২৬ মে, ২০২৫ খ্রি. তারিখে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রেস ব্রিফিং-এ আমাদের দাবীগুলো উপস্থাপন করে ২৪ ঘন্টার সময় বেধে দিয়েছিলাম। উক্ত ২৪ ঘন্টা পার হয়ে যাওয়ার পরও এখন পর্যন্ত প্রধান কার্যালয় বা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কোনো প্রতিনিধি আমাদের সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ করেননি। একারণে পূর্ব ঘোষিত পরিকল্পনা অনুযায়ী চার দফা দাবীতে শান্তিপূর্ণ আমরণ অনশন কর্মসূচিতে নেমেছি।
দাবি সমূহঃ
১। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়াধীন তথ্যআপা: প্রকল্প (২য় পর্যায়) এ কর্মরত জনবলকে সমগ্রেডে পদ সৃজনপূর্বক রাজস্বখাতে স্থানান্তর করতে হবে।
২। যেহেতু রাজস্বখাতে স্থানান্তর সময় সাপেক্ষ সুতরাং প্রকল্পের মেয়াদ ৩-৫ বছর বৃদ্ধি করতে হবে।
৩। একান্তই পদ সৃজন করে রাজস্বখাতে স্থানান্তর সম্ভব না হলে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের শূন্য পদের ভিত্তিতে সমগ্রেডে জনবলকে আত্তীকরণ হবে।
৪। আমাদের কর্তনকৃত বেতন ও ভাতাসমূহ দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।