BMBF News

পিচ্চি হেল্লাল ও রাজিবের সন্ত্রাসী বাহিনীর জুলুম ও অত্যাচারের প্রতিবাদ

৮৫৪
নিজস্ব প্রতিবেদক :

 

ভূমি দস্যু চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ী সাবেক ছাত্রদল নেতা শীর্ষ সন্ত্রাসী কারাবন্দি ইমামুল হাসান হেলাল (পিচ্চি হেলাল) ও ৩৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজিব(ক্যাসিনো রাজিব)এবং তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীর জুলুম অত্যাচারের প্রতিবাদে ১৮ ই জুন রবিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহির হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলন করেন মোহাম্মদপুর এলাকাবাসী।
মোহাম্মদপুর এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোঃ সুমন মিয়া।

এ সময় মোঃ সুমন মিয়া বলেন,

মোহাম্মদপুর ঢাকা শহরের এক কথায় প্রান কেন্দ্র এখানে যেমন সুন্দর সুন্দর জায়গা রয়েছে তেমনি রয়েছে ভয়ংকর কিছু সন্ত্রাসী যার মধ্যে একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হেলাল। তিনি ১৯৯৬ সালে ছাত্র দলে যোগ দেন। দুর্দান্ত সাহসিকতা ও তীক্ষ্ণ বুদ্ধির কারনে দলিয় সবার মন জয় করেন খুব অল্প সময়ে দলিয় নেতাদের সন্ত্রাসী মূলক কর্ম কান্ডে সরাসরি অস্ত্রসহ অংশগ্রহন করতেন তিনি। গড়ে তুলেছিলেন নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী । যার ফলে বাংলাদেশ সরকার তাকে পুরুষ্কারল ঘোষিত ২৩ জন শীর্ষ সন্ত্রাসীর একজন হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এবং ১৯৯৯ সালে উনি অস্ত্রসহ গ্রেফতার হন। জেল খানায় থাকলেও অবৈধ টাকা ও রাজনৈতিক নেতাদের মদদে রাজার হালেই জীবন-যাপন করছেন এখনো। জেল খানাকে বানিয়েছেন সন্ত্রাস তৈরির কারখানা। যেইসব ছোট খাটো সন্ত্রাসী অপরাধ করে জেল খানায় যেতেন পিচ্চি হেলাল তাদের ভালো ভাবে থাকা-খাওয়া ও জামিনের ব্যবস্থা করতেন। বিনিমিয়ে তার বাহিনীর সদস্য হয়ে বিভিন্ন আপরাধ করতে হত। তখন থেকে ঢাকা শহরের কন্ট্রাক্ট কিলিংয়ের একমাত্র হোতা তিনি।

পিজি হাসপাতালের ঠিকাদার আশিক, বাংলা কলেজের ঠিকাদার জব্বার, এদের খুন পিচ্চি হেলাল নিজের হাতেই করেন। তাছাড়া যুবলীগ নেতা সাব্বির, নজরুল ইসলাম রোডের ছগির, মোহাম্মদপুর কাটা শুরের নাসের ইকবাল, বিএনপি নেতা বাবুল মোহাম্মদপুর টাউন হলের সাবেক কাউন্সিলর রাজু ও সানাউল্লাসহ ঢাকা শহরের আর অনেক হত্যা কান্ড সংগঠিত হয় এই পিচ্চি হেলালের নির্দেশে। উল্লেখ্য কাউন্সিলর রাজু ও সানাউল্লা মার্ডারের প্রধান আসামি পিচ্চি হেলালের আপন বড় ভাই কম্পিউটার দিপু আর পিচ্চি হেলালের কিলিং মিশন সম্পূর্ন করেন । জাহিদ মোড়ল, লালা, তেরেনাম বাবু, আদাবরের কামাল তার বাহিনীরা।

পিচ্চি হেলালের আয়ের উৎস:

 

গ্রিনদেশ পরিবহন থেকে লেগুনা প্রতি ৬০০/- টাকা করে ৮০ টা লেগুনার প্রতিদিন ৪৮,০০০/- টাকা আদায় হয় এই টাকা লাইন ম্যান শাহিন কালেকশন করে শাহ্-আলমের হাতে দেয়।

মোহাম্মদপুর থেকে ফার্মগেট ইন্দ্রিরা পরিবহন থেকে লেগুনা প্রতি ৮০০/- টাকা করে ১৫০ টি লেগুনায় প্রতিদিন ১,২০,০০০/- টাকা আদায় হয়। এই টাকা পিচ্চি হেলালের একান্ত সহযোগী যুবদল নেতা জাহিদ মোড়ল নিজেই কালেকশন করে এছাড়াও সাধিন, মালোঞ্চ, মিডলাইন, তরঙ্গ, রমজান এই বাস গুলো থেকে প্রচুর টাকা চাঁদা আদায় করে যার পরিমান প্রতি মাসে প্রায় আট কোটি থেকে দশ কোটি টাকা। এই চাদার টাকা গুলো পর্যায় ক্রমে শাহ-আলম, জাহিদ মোড়ল, তেরেনাম বাবু দোলন কালেকশন করে। এর পর সম্পূর্ন টাকার হিসাব পিচ্চি হেলালের বিস্বস্থ সহযোগী লালার হাতে পৌঁছিয়ে দেয়। লালা পিচ্চি হেলালের আপন বড় ভাই অহিদুল ইসলাম দিপু (কম্পিউটার দিপুর) মারফতে পিচ্চি হেলালের কাছে পৌঁছে দেয় তাছাড়া মোহাম্মদপুর আদাবরে গার্মেন্টস ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকেও প্রচুর টাকা চাঁদা আদায় হয়। পিচ্চি হেলালের হয়ে জমি জমা দখলের কাজ পরিচালনা করেন মফিজুল ইসলাম মফি ও সরোয়ার এই মফি মোহাম্মদপুরে ভূমিদস্যু হিসেবে পরিচিত এই বেপারে তিনি বেশ কয়েকবার গ্রেফতারও হন মফি সরোয়ারের সহযোগীতায় অন্য মানুষের জমির জাল দলিল তৈরি করে মিথ্যা মামলা ও পেশি শক্তি দ্বারা জমি দখল ও অত্বসাদের চেষ্টা করে। কেউ যদি হেলাল বাহিনীর কথার বিরুদ্ধে যায় তাহলে তার আর নিস্তার নাই। পিচ্চি হেলালের নির্দেশে মফির নেতৃত্বে কম্পিউটার দিপু, লালা, তেরেনাম বাবু জাহিদ মোড়ল, আদাবরের কামাল তাদের দল বল নিয়ে ভুক্ত ভুগীর উপর হামলা চালায়। কখনো বাড়ি ঘরে আগুন দেয়, হত্যার হুমকি দেয়। বোমা হামলা করে। কিছুদিন আগেও মোহাম্মদপুর বাসি এদের অত্যাচার থেকে মুক্তি লাভের আশায় মোহাম্মদপুর বেরিবাধ ৪ রাস্তার মোড়ে একটি মানবন্ধন করা হয়। ভুক্তভুগী আরজুদা খাতুন ও সুমন মিয়ার বক্তব্য আমাদের নিজেদের পৈতৃক সম্পত্তি পিচ্চি হেলাল বাহিনী জাল করে আত্বসাধ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা প্রতিবাদ জানাতে গেলে আমাদের উপর মারধর জুলুম ও অত্যাচার করে। বাড়িঘরে আক্রমন চালায় ও প্রান নাশের হুমকি দেয়। এ বিষয়ে মামলা ও আদালত থেকে কাগজ পত্র দেখানোর সমন পাঠানো হলে তারা কাগজ পত্র নিয়ে আদালতে যায় না। ভুক্তভুগী খাদিজা বেগম জানান আমি ২০১৫ সালে মফির কাছ থেকে জমি কিনি তার পর থেকে আমার জীবনে নেমে আসে কালবৈশাখীর ঝড় আমাকে জমি থেকে উচ্ছেদ করার পায়তারা করেন, বলে এই জমি নাকি আমাকে বুজিয়ে দেয় নি।সন্ত্রাসী হামলা চালায় বাসার মধ্যে আগুন নিক্ষেপ করে হত্যার হুমকি দেয়। মর্ফিদের কারনে আমার স্বামীও আমাকে ছেড়ে চলে যায়। এই বিষয়ে আমি মোহাম্মদপুর থানায় মামলাও করি । এই পিচ্চি হেলাল বাহিনী আরও প্রায় ১০/১২ জনের জমি নিয়ে প্রতারনা করেছেন তাদের মধ্যে ভুক্তভুগী

১। মোঃ মহিম ও মাজেদা বেগম, ২। সাইফুল ইসলাম রফিক ও সাহানা, ৩। মোঃ মসিউর রহমান ৪। আবুল হাসনাত, ৫। মোজাফফর হোসেন হাসিনা বেগমসহ আরও অনেক মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে জমি না দিয়ে সর্বসান্ত করে ফেলেছে এই বাহিনী।

৩৩ নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীব যখন কেসিনো মামলায় গ্রেফতার হয় তখন পিচ্চি হেলালের হেফাযতে রাজার হালে জেল খানায় দিন কাটায় এতে রাজীব ও পিচ্চি হেলালের মধ্যে সক্ষতা গড়ে ওঠে। এতে সহায়তা করে আরেক কাউন্সিলর মিজান এলাকায় যিনি পাগলা মিজান নামে পরিচিত। তিন জন একত্রিত হয়ে নিজেদের দলকে ভাড়ি করে এবং মোহাম্মদপুরকে ব্রাসের রাজত্ব হিসেবে গড়ে।

কে এই রাজীব

মোহাম্মদপুরে তার বসবাস। তার পিতা একজন রাজমিস্ত্রি ছিলেন, কথিত আছে আর্থিক অসচ্ছলতার মধ্যেই বড় হন রাজীব। তিনি তার তীক্ষ্ণ বুদ্ধি এবং অসৎ উপায় অবল্বন করে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন এবং খুব অল্প সময়ে অজানা কারনে নেতা নেত্রীদের প্রিয় পাত্র হয়ে ওঠেন এবং সে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ৩৩ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হন। প্রশ্ন হলো একজন ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মাসিক বেতন ৩৬,০০০/- টাকা পূর্বে যেহেতু তার কোন ব্যাবসা ছিলো না, থাকতেনও ৭,০০০/- টাকা মাসিক ভাড়া বাসায় তাহলে এত অল্প সময়ে কোটি কোটি টাকা তার কাছে কোথা থেকে আসলো। এত সম্পদই বা করলেন কিভাবে অরেকজনের নাম দিয়ে ৩৬,০০,০০০/- টাকার গরুর হাটের ডাক প্রায় ৩,০০,০০,০০০/- টাকায় আনেন কিভাবে? এর কারন কি ? এই আয়ের উৎস কি?

রাজীবের সহযোগীরা হলেন শাহা আলম জীবন, সিএনজি কামাল, সন্ত্রাসী ফারুক খান অভি, মাদক ব্যবাসায়ী কোরবান আলী, জমি দখল দার ইব্রাহীম, কিশোর গ্যাং লিডার ছিনতাই কারী রুহুল আমীন মোহাম্মদপুরের মানুষ এবং ভুক্তভুগীরা সবসময়ই আতঙ্কে থাকে। তারা সবাই শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হেলাল ও
রাজীব বাহিনীর হাত থেকে মুক্তি চায়।