নিজস্ব প্রতিবেদক :
বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি গত ৩রা সেপ্টেম্বর থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী ২৭/০৫/২০১২ইং তারিখের পূর্বে স্থাপন ও চালুর জন্য আবেদিত অবশিষ্ট বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ বাস্তবায়নের দাবিতে এ অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
সংগঠনিক কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ বদরুল আমিন সরকার (ফরহাদ) সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মোঃ ফরিদুল ইসলাম এর নেতৃত্বে সারা দেশ থেকে আসা বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির শিক্ষকগণ উপস্থিত রয়েছেন।
বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি বদরুল আমিন সরকার ফরহাদ বলেন,
বাংলাদেশের মহান স্থপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি যুদ্ধ বিষন্ত দেশে প্রাথমিক শিক্ষার ভিত্তি মজবুত করার লক্ষ্যে ০১/০৭/১৯৭৩ খ্রি. তারিখে এক ঐতিহাসিক ঘোষনায় প্রথমতঃ ৩২ হাজার এবং পরবর্তীতে বাদ পড়া আরো ৪৩২৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কর্মরত শিক্ষকদের জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়ে দেশকে প্রাথমিক শিক্ষার অভিশাপ থেকে মুক্ত করেন। দীর্ঘ ৪০ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর তাঁর উত্তরসূরী হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনা যখনই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব হাতে নিয়েছেন, তখনই ০৯/০১/২০১৩খ্রি. তারিখে এক ঐতিহাসিক ঘোষণায় ২৬১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কর্মরত শিক্ষকদেরকে জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়ে জাতির পিতার মতো আরো একটি ইতিহাস রচনা করেন। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় জাতীয়করণকালীন যে পরিসংখ্যান করা হয়েছিল তা সঠিক না হওয়ায় আরো জাতীয়করণযোগ্য উপজেলা, জেলা হতে যাচাই-বাছাইকৃত ও ২৭/০৫/২০১২ তারিখের পূর্বে আবেদিত সকল বিদ্যালয় জাতীয়করণের আওতায় আনা হয়নি। আমরা বিশ্বাস করি ঐ সকল বেসরকারি পাখচিত বিদ্যালয়গুলি অভিলম্বে জাতীয়করণ করে বেসরকারি শিক্ষক নামক অভিশাপ থেকে আমাদেরকে মুক্ত করবেন বলে মনে করন।
ইতিপূর্বে তারা জাতীয়করণের জন্য ২০১৮ সালে ১৮ দিন ও ২০১৯ সালে ৫৬ দিন ও ২০২১ সালে ৭ দিন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান অনশন কর্মসূচি পালন করেছি। তখনকার সময় আকরাম আল হোসাইন অতিরিক্ত সচিব মহোদয় সহ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিনিধি
দল এসে আমাদের জাতীয়করণের আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
এমতাবস্থায় অবশিষ্ট বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলো জাতীয়করণের আওতায় আসলে দেশের লক্ষ লক্ষ কোমলমতি শিক্ষার্থীর পাঠদান ও সেই সঙ্গে বেকারত্ব দূর হবে।
আমরা আমাদের ন্যায্য দাবী আদায়ের মাধ্যমে সকল বঞ্চিত শিক্ষকদের নিয়ে আগামী সংসদ নির্বাচনে আনন্দ মুখর কর্মী হিসেবে কাজ করতে চাই। শিক্ষা বান্ধব সরকার বার বার দরকার। এই শ্লোগান নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। আমরা আপনাদের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মাননীয় প্রতিমন্ত্রী, সচিব মহোদয় ও সংশ্লিষ্ট সকলকে উদ্দেশ্য করে বলতে চাই অবিলম্বে আমাদের অবশিষ্ট বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলো জাতীয়করণ ও কর্মরত শিক্ষকদের সরকারি করণের সুস্পষ্ট নির্দেশনা চাই।