BMBF News

ফ্রান্সে খেলতে যাবে ঢাকা একাদশ

১৯
নিজস্ব প্রতিবেদ :

 

ফ্রান্সে খেলতে যাচ্ছেন ঢাকা একাদশ। জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক খেলায়াড়দের নিয়ে গঠিত ঢাকা একাদশ আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা হবেন। অধিনায়ক ফয়সালের ফ্রান্সের মার্সেই শহরের প্রখ্যাত ফুটবল একাডেমি ব্রাফেট একাডেমির বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবেন। সোমবরা ২৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানায়, ঢাকা একাদশের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আবু হোসেন চৌধুরী প্রিন্স। সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, ‘ব্রাফেট একাডেমি অনেক বড় একটা একাডেমি। এই একাডেমির বিপক্ষে আগেও আমরা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলেছি। বাংলাদেশের অনেক তারকা খেলোয়াড় এবারের যাত্রায় অংশ নিচ্ছেন। আশা করি দারুণ এক সফর হবে।’
২০১৮ সালে ঢাকা একাদশের যাত্রা। ওই বছরই প্রথমবার মার্সেই ট্যুরে যান মুন্না, মামুনুল, তকলিসসহ জাতীয় দলের একাধিক ফুটবলার। সমন্বয়ক হিসেবে সেবার দায়িত্বে রয়েছে আব্দুল্লাহ আল জাহের। এছাড়া দলের অন্য সদস্যরা হলেন, মো: আতিকুর রহমান ফাহাদ, মো: নাঈম, এস এম সামিউল ইসলাম, মো: সালাউদ্দিন ও মো: মাহমুদুল হাসান কিরণ। দলের কোচ হিসেবে রয়েছেন মো: আমানুল্লাহ ওমিডিয়া সেক্রেটারি মো: গোলাম কাইফ।
দলের অধিনায়ক ফয়সাল জানায়, প্রিন্স ভাই আমাদের জন্য প্রচণ্ড পরিশ্রম করছেন। ওনার কারণেই মূলত এই সফর হতে যাচ্ছে। প্রিন্স ভাইয়ের নেতৃত্বে এর আগেও আমরা ঢাকা একাদশের হয়ে দারুণ এক সফর করেছিলাম। আশা করি এবারের সফরও সফল হবে।’

২০১৮ সালে ব্রাফেট একাডেমির বিপক্ষে ৪টি ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশের ফুটবল দল ঢাকা একাদশ। এর মধ্যে ৩টিতে জয় এবং ১টিতে হেরেছিলেন মুন্না, মামুনুলরা। এবার ম্যাচ সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে। খেলবেন ২টি ফ্রেন্ডলি ম্যাচ। ব্রাফেট একাডেমির বিপক্ষে কেন খেলতে যাচ্ছেন?
আবু হোসেন চৌধুরী প্রিন্স জানায়, ফ্রান্সে তো আগেও খেলতে গিয়েছিলাম। ইউরোপের খেলোয়াড়দের সঙ্গে আমাদের বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মূল পার্থক্যটা কীভাবে মূল্যায়ণ করা যায়। ‘শারীরিক একটা ব্যবধান তো রয়েছেই। তবে অভিজ্ঞতায় ওরা অনেক এগিয়ে। অভিজ্ঞতা বলতে ম্যাচ অভিজ্ঞতা। আমরা আন্তর্জাতিক ম্যাচ কম খেলি। ঘরোয়া লিগ-টুর্নামেন্ট নিয়মিত হলেও আন্তর্জাতিক ম্যাচের সংখ্যা ইউরোপের দেশের তুলনায় কম খেলা হয়। যে কারণে আমরা অনেক পিছিয়ে রয়েছি। আমরা যদি বেশি করে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাই তাহলে আমাদের র‌্যাংকিং যেমন এগুবে; তেমনি আমাদের ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাসও বাড়বে।