মেহেদী হাসান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
মুঠোফোনে পটুয়াখালীর দুমকীতে কিশোর-কিশোরীর মাঝে ২০ দিন আগে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। দেখা সাক্ষাতের নাম করে স্থানীয় কতিপয় যুবকদের দ্বারা ফাঁদ পেতে প্রেমিক কিশোরকে পুলিশে সোপর্দ করার অভিযোগ উঠেছে ওই প্রেমিকা কিশোরী ও তার মায়ের বিরুদ্ধে।
বুধবার(৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার লেবুখালি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
আংগারিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ভুক্তভোগী কিশোর মো. মহসিন মোল্লা ওরফে নাইম(১৪) উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের শাহিন মোল্লার ছেলে। অপরদিকে হাবিবুল্লাহ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া অভিযুক্ত কিশোরী বিথী আক্তার(১৩) উপজেলার লেবুখালি ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মো. নাসির গাজীর ছোট মেয়ে।
সূত্র জানায়, হাবিবুল্লাহ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে এবছরের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে মোবাইল নম্বর আদান-প্রদানের মাধ্যমে নাইম ও বিথীর মধ্যে গত ২০ দিন থেকে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় লেবুখালি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড দেখা সাক্ষাৎকালে স্থানীয় লোকজনের হাতে আটক হয়।
ভুক্তভোগী নাইমের বাবা শাহিন মোল্লা অভিযোগ করে সাংবাদিকদের জানান, এটা একটা চক্রান্ত। বিথী ও তার মা পূর্বপরিকল্পিতভাবে স্থানীয় কতিপয় যুবকদের দিয়ে ফাঁদ পেতে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলে নাইমকে আটক করে এবং মারধর করে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। এতে সে রাজি না হওয়ায় একপর্যায়ে রাত ১০ টার দিকে পুলিশে খবর দিয়ে সোপর্দ করে। তিনি আরও জানান, বিথি কিছুদিন আগেও পার্শ্ববর্তী মৌকরণ ইউনিয়নের এক ছেলের সাথে ঠিক একইভাবে ঘটনা ঘটিয়েছে যা এলাকার প্রায় সকলের জানা।
অভিযোগ অস্বীকার করে বিথী জানান, সন্ধ্যার দিকে নাইম মোবাইলে কল করে দেখা করতে বলে। সে অনুযায়ী দেখা করতে গেলে স্থানীয় লোকজনের কাছে তারা ধরা পরেছে।
এদিকে বিথী’র মা বলেন, এটা(বিথী) তো আমার ছেলে না, এটা আমার মেয়ে। এটাকে তো আমার বিয়ে দিতে হবে। আমার মেয়ের মান সম্মান সব শেষ, আমি এর বিচার চাই।
কাননবালা নামের একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, সন্ধ্যার দিকে কয়েকজন যুবক মিলে ওই ছেলেটাকে ধরে ব্যপক মারধর করেছে। প্রথমে আমি মনে করেছি সাপ মারে।
শাহিনুর বেগম নামে স্থানীয় অপর এক বাসিন্দা বলেন, আমার পাশের বাড়ির বাথরুমের পাশ থেকে ওইদিন সন্ধ্যায় তাদের আটক করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) তারেক মোহাম্মদ হান্নান জানান, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আইনে একটি মামলা হয়েছে। আসামিকে কোর্ট সোপর্দ করা হয়েছে।