জাতিসংঘসহ বিশ্বের অধিকাংশ পশ্চিমা দেশের নজর এখন ইসরায়েলের দিকে। কারণ, মঙ্গলবার ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘর্ষ-বিরতির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করবে। বিশ্বনেতাদের আশা, ইসরায়েল সংঘর্ষ-বিরতির প্রস্তাবে রাজি হবে। তবে আলোচনার আগে লেবাননে ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত রয়েছে। সোমবার লেবাননের একাধিক স্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
লেবাননের জাতীয় সংবাদ সংস্থা (এনএনএ) সোমবার বিকেলে দাবি করেছে, দেশের তিনটি অঞ্চল—হারেট, রেইক এবং শিয়াতে হামলা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, অধিকাংশ মৃত্যু দক্ষিণ লেবাননে ঘটেছে, আর চারজন নিহত হয়েছেন দেশের পূর্বাঞ্চলে।
এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা এদিন অন্তত ২৫টি হিজবুল্লাহর ঘাঁটি ধ্বংস করেছে। হিজবুল্লাহও থেমে নেই। সোমবার দিনভর একের পর এক রকেট হামলা চালিয়েছে তারা ইসরায়েলের সীমান্ত এলাকায়। রোববার হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের রাজধানীসহ একাধিক স্থানে ২৫০টির বেশি রকেট ছুড়েছিল।
জাতিসংঘের পাশাপাশি ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি এবং ইতালির মতো একাধিক দেশ আশা করছে, মঙ্গলবার ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘর্ষ-বিরতির প্রস্তাবে সম্মত হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, “আমাদের ধারণা, সংঘর্ষ-বিরতির প্রস্তাবটি এবার সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।” তার মতে, দীর্ঘদিন ধরে এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে। এবার ইসরায়েলের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে চূড়ান্ত ফলাফল না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক বলেছেন, “আগের আলোচনাগুলোর তুলনায় এবারের আলোচনা অনেক বেশি ফলপ্রসূ হয়েছে। তাই আমি আশাবাদী।” তিনি আরও জানান, গালফ ও আরব দুনিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং সমস্যার সমাধানের প্রক্রিয়া অনেক দূর এগিয়েছে।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ বলেছেন, হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘর্ষ-বিরতির আলোচনা অত্যন্ত ইতিবাচক জায়গায় পৌঁছেছে। উভয় পক্ষের উচিত এবার সংঘর্ষ-বিরতির প্রস্তাব গ্রহণ করা। তবে এর আগেও ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা সংঘর্ষ-বিরতি নিয়ে আলোচনা করলেও এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি।