আজ ১৬ ডিসেম্বর, বাংলাদেশের গৌরবের বিজয় দিবস। পৃথিবীর মানচিত্রে লাল-সবুজের পতাকা তুলে ধরা, স্বাধীনতার স্বাদ অর্জন এবং একটি নতুন দেশের জন্মের দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে বীর বাঙালি দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে মুক্তির বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল।
২৫ মার্চ রাতের নির্মম গণহত্যার প্রতিশোধ নিতে শুরু হওয়া মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের দিন আজ। সেদিন পাকিস্তানি বাহিনী ঢাকার ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে আত্মসমর্পণ করে। দেশব্যাপী দিবসটি স্মরণে আয়োজন করা হয়েছে নানা কর্মসূচি।
আজ ভোরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। এরপর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্য, বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠন এবং সাধারণ মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং আলোকসজ্জার মাধ্যমে সরকারি, আধাসরকারি ও বেসরকারি ভবনগুলো সাজানো হয়েছে। শহরের প্রতিটি সড়ক, কার্নিশ এবং ছাদে উড়ছে লাল-সবুজের পতাকা। রাজধানীর পাড়া-মহল্লায় বাজছে মুক্তিযুদ্ধের গান।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার বাণীতে স্বাধীনতার সুফল সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে এবং রাজনৈতিক দলের মধ্যে পরমতসহিষ্ণুতা গড়ে তুলতে হবে।” প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “আমরা একটি শক্তিশালী ও উন্নত দেশ গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এবং জাতীয় জাদুঘরসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করেছে।
আজ সরকারি ছুটির দিন। দিনটি দেশের মানুষের কাছে যেমন গৌরবময়, তেমনই স্বজন হারানোর শোকের। দেশের জন্য আত্মোৎসর্গ করা শহিদদের প্রতি আজ সারা দেশের মানুষ গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছে।